দিরাই প্রতিনিধি ঃ- দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বড় ছেলে সুজাত মিয়া(২৬)। দুই দিন পুর্বে একটি কন্যা সন্তানের জনক হয়েছে। এলাকায় কৃতি ফুটবলার হিসেবে তার রয়েছে সুনাম। বুধবার গ্রামের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় সালিসি করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে ডান চোখটি চিরতরে হারিয়ে ফেলেছে।বর্তমানে সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড়নগদিপুর গ্রামের।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেল অনুমান ২ টায় বড় নগদীপুর গ্রামের মৃত ঠাকুরধন উল্লার ছেলে ছমরু মিয়া ও মৃত মনাফ উল্লার ছেলে আব্দুল জব্বারের লোকজন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি শুরু হয়। পাড়ার অনেকের সাথে ফুটবলার সুজাত মিয়াও দুপক্ষের মারামারির ঘটনা দমনে এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে ছমরু মিয়ার পক্ষের আফতাব মিয়ার ছেলে ছইল মিয়া পাথরের টুকরো দিয়ে ঢিল মারলে সুজাতের ডান চোখে পড়ে ভিতরে আটকে যায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। আহতাবস্থায় তাকে দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত সুজাতের চাচা দুদু মিয়া জানান,সুজাত মিয়া ওসমানী মেডিকেলের ৪ তলায় ৭ নং ওয়ার্ডের ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভর্তি হওয়ার পর মেডিকেলের চিকিৎসকগন জানান তার ডান চোখের ভিতরে পাথরের টুকরো আটকে আছে। অস্ত্রোপচার করে পাথর টি বাহির করেন চিকিৎসকগন। সুজাতের সাথে থাকা সাজাত মিয়া জানান, তার ভাইয়ের ডান চোখটি চিরতরে হারিয়ে গেছে। রড়নগদিপুর গ্রামের বাসিন্দা জগদল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ জানান দুপক্ষের মারামারিতে সালিসি করতে গিয়ে দরিদ্র পরিবারের ছেলে সুজাতের ডান চোখটি হারিয়েছে। সে এলাকার ভাল একজন ফুটবল খেলোয়াড়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান,জগদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।