নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে করোনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন বয়স্ক ব্যক্তিরা। আর শাল্লা উপজেলায় এই বয়স্কভাতা বিতরণেই মানা হচ্ছে না কোনোরূপ সামাজিক দূরত্ব।
ফলে করোনার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন শাল্লার বয়স্ক ব্যক্তিরা।
জানা যায়, শাল্লা এপর্যন্ত মোট ৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৮জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪মে) বেলা ১১টায় সরজমিন পরির্দশনে পুরাতন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বয়স্ক ভাতা বিতরণে দেখা যায়, কোনোরূপ সামাজিক দূরত্ব না মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শত শত বয়স্ক ব্যক্তিরা। দেখা যায়নি আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে। ভীর সামলাতে অনেকটা হিমসিম খাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তা।
জানা যায় ভীর সামলাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম ব্যাংক ভবন থেকে পুরাতন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আনা হয়। আর এ কার্যক্রমে দায়িত্ব দেয়া হয় মাত্র একজন কর্মকর্তাকে। ভবনটির সামনে যথেষ্ট খোলা জায়গা থাকলেও আইন-শৃংখলা বাহিনী ও ব্যাংক কৃর্তপক্ষের পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে বয়স্ব ভাতা প্রদান কার্যক্রমে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ফখর উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৩ফুট দূর দূর গোল চিহ্ন দেয়া হয়েছে ; কিন্তু কেউই তা মানছেন না। তাছাড়া আমি একা একা তাদেরকে টাকা দেবো না ভীড় সামলাবো।
এবিষয়ে সোনালী ব্যাংক শাল্লা শাখার ব্যবস্থাপক সুমিত সিংহের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা মিটিং করেছি। একজন আনসার সদস্য রাখা আছে। তাছাড়া ভাতা প্রদানকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শাল্লা থানা অফিসার ইনচার্জকেও চিঠি দিয়েছি।
এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি চিঠি পাইনি। তাছাড়া এসময় চিঠির প্রয়োজন কি ? ফোনে জানালেই তো আমরা যেতে পারি।