শাল্লা প্রতিনিধি::-
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্রের ভিজিএফ’র চাল আত্মসাৎ ও লুটপাটের অভিযোগে এনে উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শাল্লাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় শাল্লা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন পালন করা হয়।
মানববন্ধনে নজরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তারা বলেন, ঈদের আগে গরীব অসহায়দের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এসব চাল গরীবদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাৎ ও লুটপাট করে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান। এসব চালের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার সরজমিনে উপস্থিত থেকেও চাল লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। চাল লুটপাটের ঘটনা ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি চাল লুটপাটের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, প্রতিবছরই আটগাঁও ইউনিয়নের চাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এগুলো ধামা চাপা দেওয়ার ফলেই অসহায় মানুষেরা ভিজিএফের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
শুধু তাই নয় অভিযোগ উটেছে ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তার ছত্রছায়ায় থেকে প্রভাব কাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছেন। টাকা না দেওয়ায় মাতৃত্বকালীন ভাতা আটকে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে গোয়ালঘরকে মক্তক দেখিয়ে এমপি বরাদ্দের একটি বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এবং সেসবের সত্যতাও পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এবং তার এই অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের একক আধিপত্যের কারনে তার এলাকায় প্রতিদিনই মারামারি, ঝগড়াঝাটির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। তবে এসব থেকেও পরিত্রাণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও ভুক্তভোগীরা।
এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মারুফ মিয়া, সাজ্জাদনুর, ইজাজুল মিয়া, মাসুম মিয়া, শাকিল মিয়া, সাজু মিয়া ও তাওরিদ মিয়া প্রমুখ।