নিজস্ব প্রতিবেদক,দিশাডটকমঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধওে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে আমির উদ্দিন (৪৫) নামে ১ জন নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কালধর গ্রামের সাইদুল্লার ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন । গুরতর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে। রোববার সকাল ৭ টায় দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কালধর গ্রামে মরম আলী ও ফারুক মিয়ার লোকজনের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় লাইসেন্সকৃত বন্দুকসহ ফারুক মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। দিরাই থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার কালধর গ্রামের জলমহালসহ পঞ্চায়েতি টাকা দীর্ঘদিন যাবত ফারুক মিয়ার কাছে জমা রাখা হয়। সম্প্রতি জমা টাকার হিসাব নিকাশ নিয়ে মরম আলী ও ফারুক মিয়ার লোকজনের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। শনিবার সন্ধায় ফারুক মিয়ার কাছে প্রতিপক্ষ মরম আলী হিসাব চাওয়ায় দুই জনের বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে রোববার সকাল ৭ টায় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ফারুক মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টা করলে বসত ঘর থেকেই লাইসেন্সকৃক বন্দুক দিয়ে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি করেন ফারুক মিয়া। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের আমির উদ্দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ ১০জনসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন।এসময় পার্শ্ববর্তী কলিয়ার কাপন গ্রামের দেলোয়ার ও রাজন নামের দুইজন শালিস ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দেলোয়ারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন দিরাই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজিয়া মানানুল ইসলাম। গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে। দিরাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সিকদার জানান সংঘর্ষের খবর পেয়ে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। লাইসেন্সকৃত বন্দুকসহ ফারুক মিয়াকে আটক করা হয়েছে । দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল জানান এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।