শাল্লায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

শাল্লা প্রতিনিধি:
শাল্লায় উপজেলায় বাইসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে দুপেক্ষর ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামে সালেহ রহমান ও মুহিবুর রহমান গ্রুপের লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন ৫জন নারী ও ২৫জন পুরুষ। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, আবদাল মিয়া(২২), হান্নান মিয়া(৩৮), মুরসালীন (১০), কামরুল ইসলরাম(৩৫), আব্দুস সাত্তার(৪৫), ফুল বাহার(৬০), সালেহ রহমান(৪৮), তাইবা আক্তার(১১), রহিমা(১৬), তৈয়বুর রহমান(৪০), জিহাদ মিয়া(৮), মালেক মিয়া(৪০), সৈকত মিয়া(৮), খালেক মিয়া(২৮), হাফিজুর রহমান(৪০), আব্দুস সামাদ(২৬), স্বরুপা বেগম(৬০), হেলিম মিয়া(৩২), আজহারুল (২৫), সাবিকুর নেহার(২৭), বশির আহমেদ(৩৭), নিম্বর আলী(৫০), গাজীউর রহমান(৭৪), আল আমিন(২৬), হুমায়ুন কবীর(২৯), আসাদুল ইসলাম(৩৫), জিয়াউর রহমান(৩৮), জহিরুল ইসলাম(৩০), মোফাজ্জল মিয়া(৩০), ফেরদৌস আক্তার(৩০), তকবীর মিয়া(১৯), এজহার(১৮) তারা এই সংঘর্ষে আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদের মধ্যে  সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৭জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যান্যদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সালেহ রহমানের ছেলে রেজাউল একটু উগ্র মেজাজী। এলাকায় ক্ষমতার দাপট কাটিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন জনের সাথে ঝগড়াটে বাঁধায়।

জানা যায় গতকালও ভাটগাও গ্রামের গাজীউর রহমানের ছেলে আলী হোসেনকে বাইসাইকেল দিয়ে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ধাক্কা মারার কারন জানতে চাইলে আলী হোসেনকে মারধর করে সালেহ রহমানের ছেলে রেজাউল। এই মারধরকে কেন্দ্র করেই এই ভয়াবহ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এব্যপারে মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ সাদী বলেন, ভাটগাঁও গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩০জন আহত হয়ে শাল্লা হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে ৭জন গুরুতর হওয়ায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। আর অন্যান্যদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পনিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।