নিজস্ব প্রতিবেদক ঃঃ- বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন হাওরে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের রক্ষনাবেক্ষণ আশানুরূপ হয়নি। বাঁধ নির্মাণে গঠিত কমিটিতে অনিয়ম হয়েছে।এ সকল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। অকাল বন্যার পানিতে চাপতির হাওরে ৪ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।এতে অন্তত ৬০-৭০ কোটি টাকার পরিমান। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ত হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার কৃষককে আগামী ফসল তোলার আগ পর্যন্ত সব ধরনের পুনর্বাসন করা হবে। কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যাতে ১৫-২০ দিন আগে ধান ঘরে তোলা যায়। সে বিষয়ে ও গবেষনায় রয়েছে বিজ্ঞানীরা।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বৈশাখি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়া চাপতির হাওর এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন আকাশে মেঘ থাকলে আর নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে হাওরের ধান তোলা নিয়ে আমি সব সময় আতংকে থাকি। কখন কি হয়। কারণ প্রকৃতির উপর আমাদের হাত নেই। হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ যাতে প্রতি বছর ডিসেম্বরের আগে শুরু করা যায় সেটা নিয়েও আমি কথা বলব।
মন্ত্রী আরো বলেন, হাওরের পুরো ধান যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে চালের দাম অব্যশই বাড়বে। তখন কেউ বলবে না হাওরের ধান তলিয়ে গেছে বলে চালের দাম বেড়েছে। তখন দেশের বিরোধী দল সহ সবাই খাদ্য মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবে। বক্তব্য শেষে কৃষি মন্ত্রী চাপতির হাওর পাড়ের কয়েক গ্রামের কৃষকদের নিকট থেকে হাওরটি তলিয়ে যাওয়ার কারন ও আগামীতে কিভাবে বাঁধ মেরামত ও রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন।
হাওর পরিদর্শনাকালে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক,কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সুনামগঞ্জ সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা আক্তার খানম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম প্রমুখ।