শাল্লা প্রতিনিধি::-
সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। হাওর পাড়ের কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আগাম জাতের ধানের পাশাপাশি হাইব্রিড সহ অন্যান্য জাতের ধানও কাটছেন। উপজেলার ছায়া, ভান্ডাবিল, ভরাম,উদগল সহ বেশ কয়েকটি হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। গতকাল এসব হাওর ঘুরে দেখা গেছে আগাম জাতের ধানগুলো শতভাগ পেকে যাওয়ায় কৃষকেরা সময় নষ্ট না করে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় ধান পাকতে এবছর একটু সময় বেশি লেগেছে।সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং নির্ধারিত সময়ে রোদ না হওয়াকে দায়ী করছেন কৃষকেরা।
স্হানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে শাল্লায় হাওর ও নন হাওরে মোট বোরোধান আবাদ করা হয়েছে ২১৭১৪ হেক্টর।১৬ এপ্রিল (গতকাল) পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ৩০৬২ হেক্টর জমি কাটা হয়েছে। এখনও পার্সেন্টিজ বের করা হয়নি, আগামী সপ্তাহে পার্সেন্টিজে হিসাব করা হবে। তবে, ধান কাটার জন্য এবছর নতুন করে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ধান কাটার মেশিনের জন্য কোন বরাদ্দ আসেনি।
ভান্ডাবিল হাওরের কৃষক সুয়েব মিয়া জানান, দুই একর বোরো জমি ধান করেছি। সামান্য কিছু কেটেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে সুন্দরভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবো।
ভরাম হাওরের কৃষক দীপক চন্দ্র দাস বলেন, ১০ বিঘা জমিতে বোরোধান চাষ করেছি। এ বছর ধান পরিপক্ক (পাকতে) একটু সময় বেশি লেগেছে। তিনি বলেন, এবছর হাওরে বোরো ফসল খুব ভাল হয়েছে। এক বিঘা জমির ধান তিনি ইতোমধ্যে কেটেছেন।
শাল্লা উপজেলা কৃষি কমকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (তুষার) বলেন, প্রত্যেকটি হাওরেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ এলাকায় বাহির থেকে ধান কাটার প্রচুর মেশিন আসতে শুরু করেছে। আসা করি ধান কাটতে কোন সমস্যা হবে না। ফলনও খুব ভাল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে হাওর থেকে পানি পয়ঃনিষ্কাশন না হওয়া এবং সঠিক সময়ে ধান রোপন করতে না পারায় এবছর ধান পাকতে কিছু সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আপাতত ঝড়বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। সঠিকভাবে কৃষকেরা ধান কাটতে পারছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই।