
ইমরান হোসাইন-
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিকটাত্মীয় স্কুল ছাত্র ভাতিজার আত্মহত্যার খবরে শোকাহত চাচা আকস্মিক মৃত্যু বরন করেছেন। দুটি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার রাতে সায়েম আহমদ (১৩) নামে স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। খবর টি শুনে নিকটাত্মীয় পাশের গ্রামের চাচা মনোহর আলী তার ফেসবুকের আইডিতে আবেগতাড়িত স্ট্যাটাস লিখেছেন । তিনি লিখেন জারলিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানী ভাইয়ের ছেলে সায়েমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা, প্রায় সময় বাজারে দেখা হত, তার সাথে আলাপ হত, সে খুব ভাল কবিতা আবৃত্তি করতো,আল্লাহ তুমি মাফ করে দাও। এ লেখাটির মাত্র কয়েক ঘন্টার মাথায় পাশের তারাপাশা গ্রামের সৈয়দ আতাহার আলী মনোহর (৩৫) দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। মনোহরের পরিবার সুত্রে জানা যায় সায়েমের আত্মহত্যার খবর পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন। দুপুর বেলা হঠাৎ মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন তিনি। পাশাপাশি গ্রামের এ দুটি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সায়েম আহমদ (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করে।গত বুধবার রাতে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ সায়েম আহমদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। ।
সায়েম আহমদের পিতা গোলাম রব্বানী বলেন, আমার ছেলে আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার বিকেলে মাছ ধরতে হাওরে যায়।ফিরে এসে সন্ধ্যার পর সে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। রাত ৮টার দিকে তার মা রাতের খাবার খেতে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। পরে দরজার তালা খুলে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নাচনী বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ছেলে কেন আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। পরিবারের কারও সঙ্গে তার ঝগড়াও হয়নি।দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, স্কুল ছাত্র সায়েমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।





