নিজস্ব প্রতিবেদকঃ – সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে জলমহাল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার ৪ সপ্তাহ পরে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের।
মামলায় দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ মিয়াকে প্রধানসহ ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
দিরাই থানার মামলা নং-০৫, তারিখ ১৬-১১-২১ইং। সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর ভাটিপাড়া গ্রামের শিরু মিয়া তালুকদার(৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
এ ঘটনায় ৫০ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জের আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিরু মিয়ার ভাতিজা শরিফ মিয়া লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুর রহিম নালিশা আবেদনটি এফ আই আর গণ্যে রুজু করত: তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য দিরাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় হত্যা মামলাটি রুজু করা হয়েছে,থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি তদন্তকরে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
দিরাই থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত ১৮ অক্টোবর দিরাই উপজেলার উদির হাওর জলমহাল নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও ভাটিপাড়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা কাজল নূর পক্ষের লোকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ঘটনা¯’লেই এক জন নিহত হন এবং অর্ধশত লোক আহত হন । নিহত রুহেদ মিয়া (৪৫) ভাটিপাড়ার আব্দুস সহিদের ছেলে। তিনি কাজল নুরের চাচাতো ভাই। ৫ দিন পর নিহতের সহোদর সুয়েদ মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ ৭৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন ।
এ মামলায় প্রদীপ রায় এক সপ্তাহ হাজতবাস শেষে আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন, অধিকাংশ আসামী জেল হাজতে আছেন। সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর ভাটিপাড়া গ্রামের শিরু মিয়া তালুকদার(৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যায়। শিরু মিয়া ভাটিপাড়া নয়াহটি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র। এদিকে শিরু মিয়া তালুকদারের পরিবার ও স্বজনদেও অভিযোগ তিনি সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে দিরাই থানা পুলিশ বাড়ি থেকে শিরু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।এলাকাবাসী জানান, তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় পক্ষের লোক।