দিশা ডটকম ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে ছুরিকাহত করা হয়েছে। উপজেলার করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তপু দাসের উপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা হামলার পর ছুরিকাঘাতত করে ছুরিটা পেটে ডুকিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় তাকে দিরাই থেকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।পরে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুঠোফোনে আহত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তপু দাস জানান, তাঁর বাড়ি উপজেলার ৬ নং করিমপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে। তিনি এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। একই গ্রামের লিটন চন্দ্র দাস হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। একই গ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হওয়ায় লিটন দাস ও তার লোকজন শুরু থেকেই তপু দাসের ওপর ক্ষু্দ্ধ। গ্রামে তাকে সভা না করতে এবং প্রচারণায় নানাভাবে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য তাকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি রাজী না হওয়ায় তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। বুধবার রাত তিনটার দিকে তিনি গ্রামের মন্দির থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসামাত্র পাঁচ-ছয়জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি তাদের কিল-ঘুষি দেন। এক পর্যায়ে পিছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। তার পেঠের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এরপর হামলাকারীরা চলে যায়। তপু দাস বলেন, হামলাকারী সবাইকে আমি চিনেছি,হামলাকারীরা লিটন দাসের লোক। আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে না পেরে হত্যার উদ্দেশ্য এই হামলা করেছে। আমি সকালে প্রথমে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। আমি অবশ্যই মামলা করব। করিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিটন চন্দ্র দাস হামলার অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটা ঘটনা। এই গ্রামে তার কোনো বাড়ি নেই। সে থাকে মন্দিরে, স্কুলের বারান্দায়। ২৪ ঘণ্টা নেশা করে। তাকে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
admin
৬:০৫ অপরাহ্ণ