দিরাই প্রতিনিধি ঃ-
দিরাই বিবিয়ানা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাশ তালুকদারের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কমিটি । লিখিত অাটটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন সুনামগঞ্জের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
গত বছর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার গালিশাল গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ বিবিয়না মডেল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে (স্মারক নং- ০৫.৪৬.৯০০০.০০০.০০১.০৬.২০.৫৫ তারিখ ০৮/১২/২০২০) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জসিম উদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারি কমিশনার আসিফ আল জিনাত।
তদন্তে ৮টি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগের সন্দেহাতীত প্রমাণ পায় কমিটি। এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী রাজ রানী চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও প্রকাশ এবং বিধি বহির্ভূতভাবে কলেজের ৭২টি গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের দিরাই উপজেলার সদ্য বিদায়ী ইউএনও ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সফি উল্লাহর দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টিও উঠে আসে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে দিরাই বিবিয়ানা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাশ তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।