হবিগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার বেশি দামে বিক্রি করলেই জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূসরাত ফাতিমা শশী এ সিদ্ধান্তের কথা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দেন।
এর আগে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনি এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুদ রাখায় দুই ব্যবসায়ীর গুদাম সিলগালা করে দেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বলেন, কোনো অবস্থায় ৫৫ টাকার বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য একদিনের সময় নেন। তারা বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করা আছে। এ পেঁয়াজ বিক্রি শেষ হলেই সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
উপজেলা ভূমি অফিসে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল সালাম তালুকদার, সেক্রেটারি মাসুদ আহম্মেদ, ক্যাব চুনারুঘাট উপজেলা সেক্রেটারি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান তাহের, মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজগর আলীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এর আগে চুনারুঘাট বাজারে অভিযান চালান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূসরাত ফাতিমা শশী। অভিযানকালে পেঁয়াজ ক্রয়ের রশিদ না থাকা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় স্বপন স্টোরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ মজুদ রাখায় স্বপনের গুদাম ও এবং সোহেলের গুদাম সিলগালা করা হয়।