ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার না খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
অন্যান্য মৌসুমের মতোই শীতের সময়টাতেও সেই সতর্কতা মেনে চলতে হবে। শীতে বাজারে বিভিন্ন ফল, সবজি এবং মশলা পাওয়া যায়। যা স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং রক্তের চিনির ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস কি?
স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে বেশি শর্করা বা সুগার থাকলে তাকে বলা হয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস। বাংলায় এই রোগকেই মধুমেহ বলা হয়।
আসুন জেনে নেই শীতে যে ৫ খাবার খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা সুস্থ থাকবেন।
পেয়ারা
ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। ফাইবার ভাঙতে এবং হজম হতে দীর্ঘ সময় নেয়। এছাড়া রক্ত শর্করা হঠাৎ করে বৃদ্ধি হওয়া প্রতিরোধ করে। পেয়ারা কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত।
দারুচিনি
দারুচিনি ডায়াবেটিস ডায়েটের একটি চমৎকার মসলা। ডি কে পাবলিকেশন হাউসের হিলিং ফুডস বই অনুসারে, দারুচিনি হলো একটি পাচক সাহায্য যা রক্তে গ্লুকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের (এক ধরনের চর্বি) মাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে। এছাড়া ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
কমলা
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পাতিলেবু, কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফলগুলো ‘ডায়াবেটিস সুপারফুডস’, যা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা পরিচালনা করার জন্য ডায়েটে যোগ করা উচিত।
গাজর
গাজর ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে দুর্দান্ত কাজ করে। গাজরে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় তা রক্ত প্রবাহে চিনিকে ধীরে ধীরে মুক্তি দেয়। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম।
লবঙ্গ
জার্নাল ন্যাচারাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, লবঙ্গের নির্যাস ইনসুলিনের স্রোত বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বাড়ায়।