আনিসুল হক মুনঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ক্রমাগত রোগী বাড়তে থাকায় এই উপজেলায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে আইশোলেসন ওর্য়াডে। নতুন আর কোন করোনা আক্রান্ত রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনের ব্যাবস্থা করতে পারছেনা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ অবস্থায় নতুন করে আক্রান্তদেরকে বাড়িতে আইসোলেশন করে থাকার কথা বলছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও গ্রামাঞ্চলের বাড়িগুলোতে আলাদা হয়ে থাকার মতো অনেকেরই নেই যথাযথ পরিবেশ। রোগী বাড়তে থাকায় এই বিপাকে পরার কথাও জানিয়েছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন। তবে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে উপর মহলে অনেক লেখালেখি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শাল্লায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২২ মে। এর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত এই উপজেলায় মোট ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ জন।
আক্রান্ত ২০ জনের মধ্য ১০ জন শাল্লা উপজেলা হাসপাতালের করোনা আইশোলেসন ওর্য়াডে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে সিট খালি না থাকায় বাকি ১০ জন নিজ বাড়িতে আইশোলেসনে আছেন। তবে বাড়িতে থাকা রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা যথাযথভাবে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোগীদের অভিযোগ ‘কিভাবে আইসোলেশন মেন্টেইন করতে হবে বা কি কি করনীয়, কিছুই তাদের বুঝিয়ে বলা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী মুঠোফোনে বলেন‘ আমাদের কোন খবর রাখা হচ্ছেনা, কিভাবে চলতে হবে, কি করবো? কিছুই বলা হচ্ছেনা, দেখভাল নেই বললেই চলে, এরচেয়ে হাসপাতালে থাকলে অন্ততো ডাক্তাররা কিছু পরামর্শ দিতেন’।
আইসোলেশন শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল হাসান। তিনি কে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ৫ টি আইশোলেসন সিট থেকে বাড়িয়ে ১০ টি করা হয়েছে। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় তা আর বাড়ানো সম্ভব না। স্থানীয় শাহীদ আলী স্কুলে আইশোলেসন ওর্য়াড করার চিন্তা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না ‘
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন কে বলেন, ‘ আমরা আরও ৫টি শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, এমনিতেই শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরবস্থার কথা বলে শেষ করা যাবেনা, আমি আইসোলেশন শয্যা আরও বাড়াতে উপর মহলে বার বার জানাচ্ছি, একাধিকবার লিখেছি, প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে, কিন্তু তাদেরকে সেবা দেয়ার মতো পরিবেশ নেই, রোগীদের জন্য আরও সেবা বান্ধব পরিবেশ তৈরীতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি’।