দিরাই প্রতিনিধি ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাই-শ্যামারচর সড়কে অটোরিকশা চাপায় তুরজাউন আক্তার নামে ৭ বছরের শিশু নিহত হয়েছে। সে উপজেলার লৌলারচর নোয়াহাটি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে । এ সময় আরো দুই পথচারী আহত হয়। এর মধ্যে একজনকে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে । সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় দিরাই শ্যামারচর সড়কের লৌলারচর গ্রামের পাশে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনটি হয়। খবর পেয়ে দিরাই থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন।
দিরাই থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,নিহত তুরজাউন আক্তার লৌলারচরের নিকটস্থ নাসিরপুর গ্রামের ফুফুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি শ্যামারচরে পায়ে হেটে আসার পথে পিছন থেকে আসা বেপরোয়া অটোরিকশার চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যায়। তার সাথে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক। নিহত শিশুর ঘাতক অটোরিকশা চালক জাহানুর মিয়াকে (১৪) আটক করে স্হানীয় জনগন। চালক জাহানুর শ্যামারচরের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।এব্যাপারে দিরাই থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল থেকে জালালাবাদকে বলেন অপ্রাপ্ত বয়সের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে পথচারীদের চাপা দেয়, এসময় তুরজাউন নামে এক শিশু নিহত হয়। নিহতের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে। চালক জাহানুরকে আটক করা হয়েছে।