শাল্লায় আলোচিত হেলাল হত্যা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চাচাতো ভাইকে খুন! গ্রেফতার ৩

শাল্লা প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাতপাড়া (কার্তিকপুর) গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে আপন চাচাতো ভাই হেলাল (২৮) কে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতরা হলেন, ইউসুফ মিয়া, রিকসন মিয়া ও আলমগীর মিয়া। তাদেরকে গতকাল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে কার্তিকপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়,একই ঘটনার গত বছর আরে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

নিহত হেলাল উদ্দিন উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুন সকালে ১১টার দিকে সাতপাড়া বাজারে খাস জমিতে থাকা একটি দোকান ঘর নিয়ে ইউসুফ মিয়া ও মুজিবুর রহমান এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মুজিবুর রহমানের সমর্থক হাবিবুর রহমান নিহত হন। হেলাল উদ্দিন এসময় ছিলেন হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জে। দুপুরে এলাকায় আসার পর অনেকটা প্রকাশ্যেই ইউসুফ মিয়া, রিকসন মিয়া ও আলমগীর মিয়া সহ আরো কয়েকজন হেলাল উদ্দিনকে নৌকায় তুলে নিয়ে যায়। কালিয়াজুড়ি সীমান্ত এলাকায় হাওর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ইউসুফের বোন মিনারা বেগম। এ ঘটনায় মিনারা বেগম মুজিবুরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ৩৪ জনকে আসামি করা হয়। এরপর সোমবার ২০২৩ সালের ১০ জুলাই সিলেটে ডিআইজি রেঞ্জের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই পিবিআই তদন্তে নেমে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য বের করে এবং এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পিবিআই।

এই মামলার পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারিকুল ইসলাম বলেন, সাতপাড়া বাজারের সংঘর্ষের সময় হেলাল উদ্দিন আজমিরীগঞ্জ ছিল। হাবিব হত্যা মামলা সংঘটিত করিয়া, ইউসুফ মিয়া,রিকসন মিয়া ও তাদের লোকজন হেলালকে হাওরে নিয়ে হত্যা করে,হাবিবুর রহমান হত্যা মামলার কাউন্টার হিসেবে।

তিনি বলেন, মুজিবুর রহমানের সমর্থকদের ফাঁসাতে হেলালকে হত্যা করেছে হেলাল উদ্দিনের আপন তিন চাচাতো ভাই। গ্রেফতার করে তাদেরকে শাল্লা থানা পুলিশ পিবিআইয়ে হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, পিবিআইয়ের রিকুইজিশনের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।