ইমরান হোসাইন ঃ-সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালুর ৪০ বছর পর চালু হলো সিজারিয়ান সেকশন। ১৯৮৩ সালে এ হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ার পর এ বছর প্রথম সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে দুটি বাচ্চার জন্ম হয়। উভয় মা ও বাচ্চা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার দুপুরে সিজারিয়ান কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাক্তার আহম্মদ হোসেন সার্জনের দায়িত্ব পালন করেন।অচেতনবিদ হিসেবে ছিলেন ডাঃ মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য,
সহকারি সার্জন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ সানজিদা শারমিন ও ডাঃ ফারজানা আফরিন। সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতায় সফলভাবে দুই জন প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। দিরাই হাসপাতালে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া সিজারিয়ান অপারেশনের প্রসূতিরা হলো মনি হাজরা বয়স ২৩ বছর স্বামী প্রশান্ত হাজরা গ্রাম ললুয়ারচর উপজেলা দিরাই। মনি হাজরা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সদ্যজাত শিশুর ওজন ৩.৫ কেজি। অপর প্রসূতি রোগীর নাম লুতফা বেগম,বয়স ২৫ বছর। তিনি দিরাই পৌরসভার দাউদ পুর এলাকার জসীম উদ্দিনের স্ত্রী। লুতফা বেগমের কুল জুড়েও একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।মেয়ে বাচ্চাটির ওজন ৩ কেজি। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডের ইনচার্জ খাদিজা আক্তার জানান দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দুই জন প্রসূতি মায়ের সফল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। দুই মা ও তাদের দুই সন্তান সুস্থ্য ও স্বাভাবিক আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ সিভিল সার্জন ডাক্তার আহম্মদ হোসেন মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইয়াসিন আরাফাত স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা সফল ভাবে দুটি সিজারিয়ান অপারেশনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এর ফলে হাওর বেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে।