স্টাফ রিপোর্টার :– আগামী নির্বাচনে সুনামগঞ্জ২ (দিরাই শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী,শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমীন চৌধুরী বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে পরিণত হবে।দিরাই শাল্লাও এর অংশীদার হবে এর প্রত্যয় নিয়েই আমি আগামী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেই আমি প্রার্থী হিসেবে কাজ করছি।আমাদের নেত্রী বলেছেন মাঠে থাকো জোরালো ভাবে দলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করো। অতএব ভয়ের কোন কারণ নেই। আমি নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই দলের ত্যাগী ও তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আজকে যারা দিরাই শাল্লায় উন্নয়নের নামে মিথ্যা বাহানা দিচ্ছেন তারা আর কত এই মিথ্যা ভূলি দিবেন।দিরাই শাল্লা এলাকাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন অতীতে এই এলাকায় প্রয়াত নেতা জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ, অক্ষয় কুমার দাস ,সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। তখন একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিল যদি রাজনীতি দেখতে চাও- দিরাই শাল্লা চলে যাও।আর বর্তমানে মানুষের মূখে শুনা যায়,দূর্নীতি দেখতে চাও দিরাই শাল্লা চলে যাও। আমাদের পাশের এলাকায় সব কিছুতে আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়নে ভাসছে কিন্তু দিরাই শাল্লায় কোন উন্নয়ন প্রকল্পের দেখা যায়নি। বর্তমান সংসদ সদস্য ড জয়া সেনগুপ্তার সমালোচনা করে আল আমিন চৌধুরী বলেন, তিনি বয়স্ক অসুস্থ মানুষ, উনার সৃতি শক্তি কমে গেছে, কানেও কম শুনেন,তার অসুস্থতার সুযোগে তার চারপাশে একটি কুচক্রী মহল দাড়িয়েছে। দিরাই শাল্লার মানুষের কথা তিনি শুনেননা।কিছু দিন আগে দেড় কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ এসেছে। এমপির কাছের লোকেরা ভাগ বাটোয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এই দূর্নীতিবাজ রাগব বোয়ালরা জয়া সেনগুপ্তাকে ঘেরাও করে রাখছে। এই দূর্নীতিবাজ রাগব বোয়ালরা আমাদের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম মুচে দিতে চায়। আজকে সচেতন দিরাই শাল্লাবাসি জেগে উঠেছে। তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবী উঠেছে নতুন নেতৃত্বের।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় ধল বাজারের হাইস্কুল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।আওয়ামী লীগ নেতা মনোহর মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহিত মিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া , উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রঞ্জন কুমার রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,জেলা পরিষদ সদস্য রায়হান মিয়া, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, হুমায়ূন রশিদ লাভলু, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান প্রমূখ।