নিজেস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এম পি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেছেন একাত্তরের পরাজিত শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। যারা জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তারাই আজ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধা গ্রস্থ করতে চাইছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষ ভালভাবে চলতে পারছে , আরাম আয়েশে থাকছে, আজ দেশে কোন অভাব নেই, শেখ হাসিনার দক্ষতা নিয়ে সারা বিশ্বে দেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম ধর্মের কোন মানুষ কারো উপর হামলা করতে পারে না।
শনিবার বিকেল ৩ টায় থানা পয়েন্টে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাতক-দোয়ারার এমপি মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উর্বর ভুমি হচ্ছে দিরাই-শাল্লা, এ সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি মহল তৎপর হয়ে উঠেছে, তারা রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ঠ করতে এবং আওয়ামীলীগের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখতে বারবার অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী,যারা জননেত্রী শেখহাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেনি তারা দিরাইয়ে শোক সভার নামে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে উল্লাস করে। তাদেরকে প্রতহিত করতে হবে। যারা আওয়ামীলীগের সুবিধা নিয়ে বটগাছ হয়েছে, তারা কালো টাকা দিয়ে সারা সুনামগঞ্জ জেলায় সংগঠিত আওয়ামীলীগকে বিচ্ছিন্ন করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে, এই সমস্ত নেতাদের আওয়ামীলীগের দুর্দিনে খোঁজে পাওয়া যায়নি। যারা শান্তি কমিটির প্রিয়ভাজন, জয়বাংলা শুনে অভ্যস্থ নয়, যারা জিন্দাবাদ বলে তাদের জায়গা আওয়ামীলীগে হবে না। সম্প্রীতি সমাবেশে অারোও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, সহ সভাপতি সিরাজ উদ দৌলা তালুকদার, হাফিজুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিরাম তালুকদার, মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এড.রিপা সিনহা, হুমায়ুন রশিদ লাভলু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, মকসদ আলম, ইফতেখার হোসেন মঞ্জু, রেজুয়ান হোসেন খান, পাকি চৌধুরী, আহমদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, রাহাত মিয়া, জুয়েল মিয়া, পারবেশ রহমান, শাহেল চৌধুরী ও সজিবনুর প্রমূখ।