দিশা ডেস্ক;
বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা অনেকাংশে নদী কেন্দ্রিক। আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ব্যবস্থার উপর এখনও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী নির্ভরশীল। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার দেশের ৬৪ জেলায় নদ-নদী, খাল, বিল, সরকারি পুকুরসহ জলাধার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা সমূহে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশের ন্যায় এ জেলায় নদ-নদী, খাল, ছড়া, বিল, হাওরসহ অন্যান্য জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ দখলকৃত ভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কাজ সোমবার শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরশহরের বড়পাড়া ও সাহেববাড়ী ঘাটে মোট ১১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। যার ফলে প্রায় ৫ একর সরকারি ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: হারুন অর রশীদ; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফ আদনান, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো: সম্রাট হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে জামালগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে ২৩টি দোকানঘর ও ১টি বসতবাড়ীর কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়। ধর্মপাশা উপজেলা সদরে অবৈধভাবে স্থাপিত ২টি বাড়ি ও ১০টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে মোট ৪০ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। জগন্নাথপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত ২টি বসতঘর উচ্ছেদ করে প্রায় ১২ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয় এবং তাহিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত ০৫টি স্টোন ক্রাশার মেশিন, ১টি বসতঘর উচ্ছেদ করে ৫ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত এবং নদীর পাড় কাটার ২টি মেশিন ধ্বংস করা হয়। চলমান এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ উচ্ছেদ কার্যক্রমের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান এবং অবৈধ দখলদার ও স্থাপনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।