স্টাফ রিপোর্টার ঃ দিরাইয়ে ইজিবাইক চাপায় সুজন দে (১৮) নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। বুধবার বেলা ৩ ঘটিকার দিকে হারনপুর – ঘাগটিয়া সড়কের মজলিশপুর এলাকায় বেপরোয়া গতির ইজিবাইক চাপায় গুরুতর আহত সুজন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে দিরাই। ঘাতক চালকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও পৌর এলাকায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবীতে রাতেই থানা পয়েন্টে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশের আশ্বাসে থানা পয়েন্টে থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করলেও হারানপুর ঘাগটিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় একই দাবীতে রাস্তায় নামে নিহত সুজনের সহপাঠী দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকশ ছাত্র ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে থানা পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস চয়ন। উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাসান অলক, সিনিয়র শিক্ষক মাসুক আহমদ, মৃণাল কান্তি আচার্য, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেকুল মিয়া, বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ, দিরাই কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্না তালুকদার লিমন প্রমুখ।
এরআগে দিরাই পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকায় ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ হারিয়েছিল সোনালি (৬) নামের শিশু শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।