দিশা ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি করায় পাঁচ ব্যক্তিকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সঙ্গে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। তারা সবাই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি। কাবিটা নীতিমালা-২০১৭-এর পরিপন্থী হওয়ায় তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ২৭নং পিআইসির সভাপিত মো. হিরণ মিয়া, ২৮নং পিআইসির সভাপতি এমরান হোসেন, ২৯নং পিআইসির সভাপতি রুহুল আমীন, ৩০নং পিআইসির সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাই হাওরের ৩২নং পিআইসির সভাপতি সয়েজ নুর। ৩১নং পিআইসির সভাপতি জুবায়েল আহমদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়।
জানা যায়, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেবুন নাহার শাম্মী ও উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মনিটরিং কমিটির সদস্যরা পশ্চিম বীরগাঁও ও পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে খাই হাওরের ছয় প্রকল্পের কাজে ত্রুটি থাকায় ও ত্রুটিপূর্ণ বাঁধ দ্রুতসময়ে নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন না করায় পিআইসির ছয় সভাপতিকে আটক করা হয়। পরে তাদের দণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, ছয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিকে বার বার নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কথা শোনেননি। তাদের কাজে অনেক ত্রুটি ছিল। এজন্য ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩২নং পিআইসির সভাপতিকে দুদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ৩১নং পিআইসির কাজ কিছুটা ভালো হওয়ায় ওই সভাপতিকে মুচলেকা নিয়ে মু্ক্তি দেয়া হয়।