থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের
দিরাই প্রতিনিধিঃ-দিরাইয়ে উপজেলার আলহাজ্জ আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরোদ্ধে সহকারী শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিও সহকারী শিক্ষক(গণিত) শফিকুল ইসলাম ২২ জুলাই দিরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে জানা যায়,শফিকুল ইসলাম দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়ে বিগত ৫ বৎসর যাবত সহকারী শিক্ষক (গণিত) পদে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমান স্থানীয় প্রভাবশালী ও দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন,সেশনফি, , প্রশংসাপত্র বিতরন, সার্টিফিকেট বিতরণ, পুনঃভর্তি বাবদ প্রাপ্ত আয় ও বিভিন্ন দাতা সদস্যদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সহায়তা বাবদ অর্থসহ সরকারি সহায়তার বিবিধ খাতে অর্জিত আয় প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন যাবত আত্মসাৎ করে আসছেন।স্কুলের নামে, বে-নামে একাধিক শিক্ষার্থীর নিকট হতে একাধিকবার বেতন উত্তোলনের মাধ্যমে দূর্নীতি করে নিজে লাভবান হয়েছেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক বছরের পর বছর সহকারী শিক্ষকদের বেসরকারি খাতের প্রাপ্ত বেতন ২০১৭ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেননি। যার ফলে শিক্ষকগণ পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ে অর্জিত আয়- ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের সহিত তার মতানৈক্য তৈরী হয়। এরই জের ধরে অকারনে শোকজ, নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন প্রধান শিক্ষক ।গত ২০ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির উপস্থিতে মিটিং চলাকালে চাকুরী থেকে বিদায় দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক আক্রোশ বশত তাকে নবম-দশম শ্রেণির গণিত ক্লাস নেয়া থেকে অব্যাহতি দেন। ২১ জুলাই রবিবার সময় অনুমান ১২ ঘটিকায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হইয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে স্কুলে না আসতে বলেন। এসময় প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমান শফিকুল ইসলামকে পরদিন থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন, বিগত কয়েক বছর এস এস সি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ফলাফল মান সম্মত না হওয়ায় কমিটির লোকজন সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম কে দায়ী করেন। এবিষয়ে তাকে লিখিতভাবে শোকজ করায় সে আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি সঠিক নয়। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামের অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।