আইনজীবি শিশির মনিরের প্রচেষ্টায় হাওরপাড়ের পাঁচ গ্রামে চালু হচ্ছে বিদ্যুৎ 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলাবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত সকল ক্ষেত্রেই। বিগত সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাটের মহোৎসব হয়েছে। ভূয়া প্রকল্পের নামে সুবিধাবাদীরা আঙুল ফোলে কলাগাছ হয়েছে অনেকেই। জনগনকে উন্নয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে অভিযোগ করে এলাকাবাসী বলেন,এইরকম  একটি প্রকল্পের আওতায় শাল্লা উপজেলার পাঁচ গ্রামের জনগণকে ভাঁওতাবাজি আর ধোকা দিয়ে চালু হয় সৌরবিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র।  ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি অনিয়ম আর দূর্নীতির কারনে অল্প দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অন্ধকারেই থাকতে হয় এই জনপদের বাসিন্দাদের। প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের এই বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে   এগিয়ে আসেন সুপ্রিম  কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। অবশেষে হাওর পাড়ের পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারদের চাহিদার কারনে আইনজীবী  শিশির মনির নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল পরিমানের বকেয়া বিল পরিশোধের মাধ্যমে চালু হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়  ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি। ২০২২ সালের  বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে পড়লে শাল্লার শ্বাসখাই , শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামে  অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু সৌরবিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ না করতে পারায় নতুন করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগও নিতে পারছিলেন না এই গ্রামবাসীরা।

এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন হবিবপুর ইউনিয়নের শ্বাসখাই, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামের ৫০০ পরিবারের ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে তারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।

এদিকে,প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে শাল্লার কৃতি সন্তান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির এগিয়ে আসেন।তিনি সরেজমিনে ওই এলাকায় ছুটে যান। তাকে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এডভোকেট শিশির মনির ওই এলাকার  লোকজনের সামনে থেকেই সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলেন। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দেন। তবে এজন্য বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেন।  গতকাল রোববার দুপুরে দিরাই অগ্রণী ব্যাংকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের সমোদয় টাকা পরিশোধ করা হয়। সৌর বিদ্যুতের ৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধের করে দেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। এতে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগের স্বপ্ন দেখছে পাঁচ গ্রামের মানুষ। হবিবপুর ইউনিয়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকরা জানান, তাদের অনেকে সৌরবিদ্যুৎ ছেড়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বিপুল পরিমানের টাকা বকেয়া থাকায়  পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০০ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে বিদ্যুৎ পেতে আবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের প্রচেষ্টায়  বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে শাল্লার পাঁচটি গ্রাম। বছরের পর বছর ধরে অন্ধকারে থাকার পর এবার ওই পাঁচ গ্রামের মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। দিরাই উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী পরশুরাম তরফদার বলেন শাসখাই এলাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের সমূদয় টাকা আমরা পেয়েছি।এখন থেকে আমাদের আর কোন পাওনা নেই মর্মে লিখিতভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জানিয়ে দিবো।