নিজেস্ব প্রতিবেদক ঃঃ– দিরাই উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৯ টি ইউনিয়নের ৩ টিতে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ২ টিতে বিএনপি ২ টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২ টিতে যুবলীগে দুই স্বতন্ত প্রার্থী জয়লাভ করেন। বিজয়ীরা হলেন রফিনগর ইউনিয়নে শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদার, নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী। ভাটিপাড়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী বিজিত চন্দ্র দাস। রাজানগর ইউনিয়নে যুবলীগ স্বতন্ত জহিরুল ইসলাম জুয়েল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নওশেরান চৌধুরী। চরনাচর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা পরিতোষ রায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জগদীশ সামন্ত।সরমঙ্গল ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী। করিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন চন্দ্র দাস লিটু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ।জগদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন রশীদ লাভলু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ ।তাড়ল ইউনিয়নে বিএনপির আলী আহমদ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমদ চৌধুরী।কুলঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মোঃ একরার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলাউর রহমান আলা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশ সদস্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে র্যাব বিজিবি সদস্য মোতায়েন ছিল । এছাড়া ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৯টি ইউনিয়নের মোট ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৬ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৮১হাজার ৭৩৩ এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ৮১হাজার২৫৩।