পরীক্ষামূলক সম্প্রচার

আজ বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রচ্ছদউপজেলার খবরশাল্লাশাল্লায় এখনো শুরু হয়নি অনেক বাঁধের কাজঃ অরক্ষিত কালিকোটা হাওর

শাল্লায় এখনো শুরু হয়নি অনেক বাঁধের কাজঃ অরক্ষিত কালিকোটা হাওর

দেড় মাস সময় পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কালিকোটা হাওরে অধিকাংশ ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শুরু না হওয়ায় হতাশা আছেন কালিকোটা হাওর এলাকার কৃষকেরা।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে গত ৫ ও ৯ ডিসেম্বর দু’দফায় নির্বাচিত পিআইসি সভাপতিদের কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও উপজেলার কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের অনেক পিআইসি এখনো বাঁধের কাজ শুরুই করেনি। আবার কিছু কিছু পিআইসি’র বাঁধের কাজ শুরু হলেও পাউবো’র নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করে পিআইসিগণ তাদের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করে ঝুঁকিতে ফেলছে কৃষকদের বোরো ফসল।
সোমবার (২৬জানুয়ারী) কালিকোটা হাওর সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ৫৬, ৫৭ নং পিআইসি’তে এক্সেভেটর দ্বারা মাটি কাটা হচ্ছে। যদিও কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ওইসব কাজ শ্রমিক দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা। বাঁধের কাজগুলো শ্রমিকের পরিবর্তে এক্সেভেটার দ্বারা করায় একদিকে এলাকার হত-দরিদ্র শ্রমিকগণ কর্ম-সংস্থানের অভাব অনুভব করছে। অপরদিকে মেশিন দিয়ে বাঁধের গুড়া থেকে মাটি কাটায় বাঁধগুলো হচ্ছে তুলনামূলক ভাবে দুর্বল।
ওই হাওরের ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭৪, ৭৬, প্রকল্পগুলোতে এখনো কাজ শুরু হয়নি। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়নি কোনো সাইনবোর্ডও। যেসব প্রকল্পে এক্সেভেটর দ্বারা মাটি কাটা হচ্ছে সেগুলোতেও সাইনবোর্ড সাটানো হয়নি। ফলে এলাকার সাধারণ লোকজন প্রকল্প কাজের কোনোকিছুই জানতে পারছে না।
৭১, ৭৪ ও ৭৬ নং পিআইসি তিনটির লোকজনকে মাঠে ফেলে তারা জানান, ভাইজান আমরা এক্সেভেটর এনেছি। কিন্তু এক্সেভেটর সাইটে আনামাত্রই যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়ায় কিছুটা বিলম্বে হচ্ছে। তবে আজই আমাদের এক্সেভেটর সচল হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাহুতলা বাজার এলাকার কিছু মানুষ  এপ্রতিবেদককে জানান, আমাদের কালিকোটা হাওরে অনেকগুলো পিআইসিই অপ্রয়োজনীয়। পাউবো’র কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ রাজনৈতিক নেতাদের পেট ভরতেই এসব প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারা আরো বলেন, শুনেছি ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহ থেকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করার কথা। যেসব পিআইসি’তে কাজ হচ্ছে সেগুলো কে কি ভাবে কাজ করছে, আজ পর্যন্ত কোনো তদরকি কর্মকর্তাকে বাঁধে দেখিনি। তদারকি না থাকায় পিআইসি’র লোকজন তাদের ইচ্ছা মাফিক বাঁধের গুড়া কেটে বাঁধ নির্মাণ করছে। আমরা তাদেরকে বার বার বাঁধা-নিষেধ করলেও তারা আমাদের কথা কানে তুলেনি। এছাড়া আমাদের রাহুতলা বাজার থেকে রাহুতলা গ্রাম পর্যন্ত যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলোর কোনা প্রয়োজনই ছিল না। এটা সরকারি টাকা লোপাটের খন্ডচিত্র।
এব্যাপারে কথা বলতে শাল্লা উপজেলা শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সমসের আলী’র মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।