প্রতি ইউনিয়নে খাদ্য গোদাম নির্মাণ এবং সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ বৃদ্ধির জন্য শিশির মনিরের আবেদন

সুনামগঞ্জ জেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি, ইউনিয়নভিত্তিক খাদ্যগোদাম নির্মাণ এবং সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর তিনি এই আবেদন করেন। আবেদনের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য অধিদপ্তর, জেলা কৃষি অধিদপ্তর বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
আবেদনে মোহাম্মদ শিশির মনির উল্লেখ করেন চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে প্রায় দুই লক্ষ তেইশ হাজার পাঁচশত দুই হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবমতে, এবারের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হাওরে প্রায় ১৪ (চৌদ্দ) লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের নির্ধারিত পরিমাণ মাত্র চৌদ্দ হাজার ছয়শত পঁয়তাল্লিশ মেট্রিক টন। যা প্রকৃত উৎপাদনের তুলনায় অপ্রতুল। এর ফলে অধিকাংশ কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের চক্রে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
দিরাই-শাল্লাসহ জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে খাদ্যগোদাম নির্মাণ সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে কৃষক সহজে তাদের ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবে এবং অধিক মুনাফা লাভ করবে। সুনামগঞ্জের একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ধান। এই ধান দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধানের উপরই নির্ভর করে সুনামগঞ্জের মানুষের জীবনযাত্রার মান। কিন্তু এই ধান নিয়ে সরকারের কোন বৃহৎ পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়নি।
আবেদনে কৃষকদের স্বার্থে বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা। সরাসরি কৃষকের বাড়ি থেকে ধান সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা। সুনামগঞ্জ জেলার প্রতি ইউনিয়নে আধুনিক খাদ্যগোদাম নির্মাণের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ধান সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে কৃষকবান্ধব, স্বচ্ছ ও তদারকিযোগ্য করা যেতে পারে, যাতে প্রকৃত কৃষকরা সরাসরি লাভবান হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।