শাল্লা প্রতিনিধি-
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আব্দুন নূর মিয়ার বিরুদ্ধে একজন প্রতিবন্ধির কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
শাল্লা ইউপি’র দামপুর গ্রামের প্রতিবন্ধি ব্যক্তি মৃত হরছত উল্যার ছেলে মোঃ মিজাজ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার (২৭নভেম্বর) দুপুর ১২টায় এই অভিযোগ দায়ের হয়।
লিখিত অভিযোগে ওই প্রতিবন্ধি ব্যক্তি উল্লেখ্য করেন- গত ২০১৭ সালে বয়স্ক ভাতা কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি মেম্বার তার কাছ থেকে নগদ ২হাজার টাকা ঘুষ নেয়। টাকা নেয়ার দু’বছর পেরিয়ে গেলেও ওই প্রতিবন্ধি ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা কার্ড পাওয়ার জন্য মেম্বারের বাড়িতে ধর্ণা দিয়ে কোনো সুফল না পেয়ে ন্যায় বিচারের এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে- প্রতিবন্ধি ব্যক্তি ঘুষের টাকা ফেরৎ চাইলে উক্ত মেম্বার প্রতিবন্ধি ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নানা ধরনের ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে।
এবিষয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধি মোঃ মিজাজ আলী জানান আমি নিজে একজন প্রতিবন্ধি। আমার এক মেয়ে ও স্ত্রী তারাও প্রতিবন্ধি। আয়-রোজগারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মেম্বোর আমার এ দূর্বলতাকে কাজে লাগায়। তা আমি আগে বুঝতে পারিনি। আমি বয়স্ব ভাতা পেতে মেম্বারকে মহাজনের কাছ থেকে মাসিক সুদে ঘুষের টাকা দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দামপুর গ্রামের অনেকেই জানান, শুধু মিজাজ আলী নয়, দামপুর-চব্বিশা মিলে ৭নং ওয়ার্ডের শত শত গরীব-দু:স্থ লোকদের কাছ থেকে এভাবে হাজার হাজার টাকা মেম্বার হাতিয়ে নিয়েছে।
এব্যাপারে মেম্বার মোঃ আব্দুন নূর মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা বরাবর অস্বীকার করে বলেন, আমি মিজাজ আলীর কাছ থেকে কোনোদিন কোনো টাকা পয়সা আনি নাই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হ্যাঁ, একটি অভিযোগ আছে। তবে লক্ষ্য করিনি। অভিযোগটি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।