নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হাওর রক্ষা বাঁধের দূর্ণীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের সাথে হাত মিলিয়েছে বাপাউবো ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।হাওর রক্ষা বাঁধের অনিয়মের সংবাদ ঠেকাতে পিআইসি( প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) ও বিভিন্ন কাজে রাখা হয়েছে সাংবাদিক ও তাদের স্বজনদের।এবিষয়ে অভিযোগের তীর সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ- ২ এর শাখা কর্মকর্তা সমশের আলী মন্টুর বিরুদ্বে।তিনিই নাকি কৌশলে এমন কাজ করেছেন। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলার সচেতন মহলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,সাংবাদিকদের হাতে রাখতে সরাসরি তাদের নামে প্রকল্প না দিয়ে কৌশলে তাদের স্বজনদের নাম দেওয়া হয়েছে পিআইসি কমিটিতে।এমনকি সাংবাদিকের স্বজন এক পিআইসি সভাপতি স্বীকারও করেছেন এমন কথা।
সুনামগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা সুনামগঞ্জের খবরের শাল্লা প্রতিনিধি পিষুস শেখর দাস পি.সির আপন ভাই, ভাগ্নে ও ভগ্নিপতির নামে দেওয়া হয়েছে দুইটি পিআইসি,নামধারী সাংবাদিক ও স্বঘোষিত শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাদল চন্দ্র দাসের ভাগ্নের নামে দেওয়া হয়েছে একটি পিআইসি। তাছাড়া সুনামকন্ঠ পত্রিকার শাল্লা প্রতিনিধি জয়ন্ত সেনের মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া হয়েছে পিআইসির সাইনবোর্ডের কাজ।
শাল্লা উপজেলা পওর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভান্ডাবিল হাওর উপ-প্রকল্পের ২৭নং পিআইসি’র সভাপতি নিতেশ দাশ। যিনি সাংবাদিক পি.সি. দাশের আপন ভাই।
ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের ১২৪নং পিআইসি’র সদস্য সচিব জন্টু সরকার ওই সাংবাদিকের ভগ্নিপতি।
অবাক কার বিষয় হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে প্রাপ্ত পিআইসি’র তালিকায় ২৭নং পিআইসিতে সভাপতি পি.সি দাশের আপন ভাই নিতেশের নাম থাকলেও মোবাইল নাম্বারটি সাংবাদিক পি.সি. দাশের পাওয়া যায়।
অন্যদিকে প্রকল্পস্থানে টানানো সাইনবোর্ডে নিতেশের মোবাইল নাম্বার। তালিকায় একটি ফোন নাম্বার ও সাইনবোর্ডে আরেকটি ফোন নাম্বার দিয়ে লুকোচুরি খেলা তৈরী করেছে উপজেলা পওর বিভাগ।
এব্যাপারে ২৭নং পিআইসি’র সভাপতি নিতেশ দাশের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তাছাড়া জানাযায়, ছায়ার হাওরের ৮৯নং পিআইসি’র সভাপতি মোহন দাস সাংবাদিক বাদলের ভাগ্নে। যার বাড়ি দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামে। তিনি ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের একজন চা-বিক্রেতা। ডুমরা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। শাল্লা উপজেলায় তার নিজের কোন জমি নেই।
এবিষয়ে ৮৯নং পিআইসি’র সভাপতি মোহন দাসের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পিআইসিটি সাংবাদিক বাদলের বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদিক বাদলের ভাগ্নে। আমি নামমাত্র সভাপতি। মামাই সবকিছু !
এবিষয়ে, জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-মুক্তাদির হোসেনের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে পওর ২ এর শাখা কর্মকর্তা সমশের আলী মন্টুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটাতো উপজেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আমার বিষয় না। তবে লিখিত অভিযোগ দেন, ব্যবস্থা নেব।