নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শাল্লায় বোরোধান ২০২০ সংগ্রহ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।তবে সভায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক সদস্য অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অমিতা রানী দাসসহ, কৃষক প্রতিনিধি আব্দুল খালেক, রাইস মিল মালিক প্রতিনিধি,চার ইউনিয়ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
আর এসব গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিত রেখেই সভায় ধান সংগ্রহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী মে মাসের ৫ তারিখ কৃষিকার্ড সংগ্রহের শেষ তারিখ, ৭ মে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন এবং একজন কৃষকের সর্বোচ্চ দুই টন ধান নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এটা নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। আবার অনেকেই বলছেন গতবছর যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ায় চার সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সভা বয়কট করেছেন।
তবে একটি বিশ্বস্থ সূত্র নিশ্চিত করেছে চার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একমত হয়েই সভা বয়কট করেছেন। আর উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান বলছেন তাদের দাওয়াতই দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ১ নং আটগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সাথে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মিটিং এ গিয়ে কি হবে।ধান দেওয়া হয় সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে। লটারির মাধ্যমে যে তালিকা করা হয় এর পরেও ধান দিতে আরেক জনের অনুমতি লাগে। আমরা মিটিংএ যে সিন্ধান্ত নেই পরে এটা ঠিক থাকে না।এখানে অনেক বড় সিন্ডিকেট আছে।
২নং হবিবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বলেন অসুস্থতার কারনে সভায় যেতে পারিনি।
৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র দাস বলেন আমি চিঠি পাইনি।আমাকে সভার আধাঘন্টা আগে ফোনে জানানো হয়েছে।আর গিয়েই কি লাভ আমাদের কথার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না।
৪ নং শাল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমি ধান কাটাতে জমিতে ছিলাম।উপজেলা কমিটি যে সিন্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমি একমত
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন আমরা যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সম্মানিত চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়েই করি।তবে হাওরে এখন ধান তুলার কাজের ব্যস্ততা থাকায় অনেকে আসতে পারেনি