মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ধান কাটা শুরু করা হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সকল সদস্যদের মাঝে জীবানুমুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। তবে ধান কাটার বিষয়ে কৃষক নিলু দাস জানান, শ্রমিক সংকটের কারনে হাওরের ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে যুবলীগের এই সহযোগীতায় তিনি যুবলীগের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
তিনি আরো বলেন তাদের এই সহযোগীতার কারনেই দুর্যোগের এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। ফলে ধান কাটা টেনশন থেকে মুক্ত পেলেন তিনি।
যুবলীগ নেতা অজয় তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় কৃষকদের এই দুর্দিনে আমরা পাশে দাড়িয়েছি। তবে বর্তমান সময়ে কোনো কৃষক ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলে আমরা উপজেলা যুবলীগ পাশে দাড়াবো।
উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনামতে আমরা যুবলীগের সদস্যরা কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছি। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি, কালবৈশাখীর ঝড় ও বজ্রপাতে হাওরপাড়ের কৃষকেরা আতঙ্কিত রয়েছে। তাই কৃষকদের এই ভয়কে জয় করে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে সহযোগীতা করবে উপজেলা যুবলীগ।
যুবলীগের সকল সদস্যরা প্রস্তুত অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দেয়ার জন্য। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা সুবীর সরকার পান্না, টুটুল সরকার, মো. আব্দুল্লা, মতি মিয়া, সাবাজ হোসেন, কৃপেন্দ্র তাং, রতন রায়, সুদীপ চৌধুরী প্রমুখ শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কৃষকদের দুর্দিনে পাশে দাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগেও উপজেলা ছাত্রলীগ এক গরীব অসহায় মহিলার ধান কেটে দিয়ে বাড়িতে পৌছে দিয়েছে। মঙ্গলবার যুবলীগও গরীব অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগগুলো আসলেই প্রশংসনীয়।