শাল্লা প্রতিনিধি-
সুনামগঞ্জের শাল্লায় একই দিনে একজন নারী ও একজন যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের রৌয়া গ্রামের রতিকান্ত দাসের স্ত্রী মায়া রাণী দাস (৪৫) বিদ্যুৎপৃষ্টে ও ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সুধাংশু তালুকদারের ছেলে হিমাংশু তালুকদার (২৯) বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার ২৯মে দুপুরে রৌয়া গ্রামের স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় রতিকান্ত দাসের ছেলে হৃদয় দাস (১৬) দুপুরে ঘরে ফ্যানের ইলেক্ট্রিক লাইন সংযোগ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এসময় তার মা মায়া রাণী দাস ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তার শরীরে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়। ওইসময় স্থানীয় লোকজন বাঁশ-কাট দিয়ে হৃদয় দাসকে বিচ্ছিন্ন করলেও তার মা মায়া রানী দাসকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে মায়া রাণী দাস ও হৃদয় দাসকে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডাঃ সালমা বেগম মায়া রাণী দাসকে মৃত ঘোষনা করেন এবং হৃদয় দাসকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অন্যদিকে ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কাছে কলমী বনে একই ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিমাংশু তালুকদারের আর্ত-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় হিমাংশু ইদুর নাশক ট্যাবলেট (বুলেট) খেয়েছে বলে জানায় রঘুনাথপুর গ্রামের রামগোপাল দাস সহ তার সঙ্গীয় লোকজনকে। রঘুনাথপুরের করুনাসিন্ধু দাস তাকে চিনতে পেরে হিমাংশু’র অভিভাবককে খবর দিলে তারা সাথে সাথে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সালমা বেগম তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষ খেয়ে মারা যাওয়া হিমাংশু তালুকদারের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।