নিজস্ব প্রতিবেদক,আদালত প্রাঙ্গন থেকে ঃ-
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের আলোচিত রুহেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায়কে দুই দিনের দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।শনিবার বিকাল ২ টায় সুনামগঞ্জ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ খালেদ মিয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আজিজুর রহমান ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।শুনানি শেষে আদালত দু দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাত ১১ টায় সিলেট শহরের মদীনা মার্কেট এলাকা প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার র্যাব -৯ এর একটি দল। পরে তাকে রাত ৩ টায় দিরাই থানায় হহস্তান্তর করে র্যাব -৯। এর আগে ২০১৭ সালে উপজেলার জারলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ত্রিপল মার্ডার মামলারও আসামী প্রদীপ রায়।
দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রুহেদ নামে একজন নিহত হয়। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। দিরাই থানায় করা ওই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ ৭৩ জনকে আসামি করা হয়।
২২ অক্টোবর রাতে দিরাই থানায় মামলাটি করেন নিহত রুহেদ মিয়ার ভাই সুহেদ মিয়া। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর বিকেলে উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে উপজেলার ভাটিপাড়া দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামীলীগের নেতা কাজল নূরের পক্ষের রুহেদ মিয়া (৪০) নিহত হন। আহত হন আরও অর্ধশতাধিক জন।
অভিযোগ আছে, স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামের জলমহালটি ইজারা নিলেও এর পেছনে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভাটিপাড়া গ্রামে তাঁর পক্ষের নেতৃত্ব দেন শাহ আলম। সংঘর্ষে নিহত রুহেদ মিয়া কাজল নূরের চাচাতো ভাই। আলোচিত রুহেদ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানা এস আই আজিজুর রহমান জানান, হত্যা মামলায় আসামী প্রদীপ রায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।অাদালত শুনানি শেষে দু দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। উল্লেখ্য
২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারিতে দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পরে প্রদীপ রায়কে প্রধান আসামী করে, দিরাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোশাররফ মিয়া এবং দিরাই উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় বর্তমানে প্রদীপ রায় জামিনে আছেন। এদিকে রুহেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী প্রদীপ রায়ের শাস্তি দাবী করে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে নিহতের স্বজনরা। এসময় তারা গ্রেপ্তার প্রদীপ রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।