নিজস্ব প্রতিবেদক,দিশা ডটকম ঃ-পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এম পি বলেছেন দেশে ৫ বছর পর পর নির্বাচন হবে। নির্বাচন ছাড়া পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্টক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার দিন শেষ। স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশের অগ্রগতিকে বারবার বাধাগ্রস্থ করেছে। সকল অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে দেশ পরিচালনা করছেন,প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনার সকল কিছুই সাধারন মানুষের জন্য। শেখ হাসিনা সবসময় পরিশ্রমী, শ্রমজীবি ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবেন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে আওয়ামীলীগ সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে রুপান্তর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তা সফল করতে হাওরাঞ্চলকে শিক্ষায় এগিয়ে নিতে হবে। সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও বিবিয়ানা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছুফি মিয়ার স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিবিয়ানা মডেল কলেজ প্রতিষ্টার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার ঘটাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফি উল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মাসুফা তাসনিম মুর্শেদা এবং কুলঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়ার যৌথ পরিচালনায় গণসংবর্ধনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দিরাই শাল্লার সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক , সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন , হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা খানম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পবিত্র মোহন দাস। এ সময় উপস্থিত দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রিপা সিনহাসহ স্থানীয় অনেক নেতা উপস্থিত থাকলে কাউকে বক্তব্যের সুযোগ না দেয়া মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।