নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তে যাদুকাটা নদীতে স্রোতের তোড়ে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবে হারিছ মিয়া (৩২) নামে এক মাঝি নিখোঁজ হয়েছেন। মূলত ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন হারিছ। এ ঘটনায় আরও তিনজন স্রোতের তোড়ে ডুবে যান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেছে।
আজ সোমবার সকালে যাদুকাটা নদীর বারেকটিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হারিছ মিয়া উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ের বড়গোফ টিলার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বড়গোফ টিলা খেয়া নৌকার মাঝি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অভিযান পরিচালনা করছে। তবে, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হারিছকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজ সোমবার ভোরে ভারতের মেঘালয় এলাকার পাহাড় থেকে পানিতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে যাদুকাটা নদীতে গিয়েছিলেন হারিছ মিয়া ও একই গ্রামের অলফাত আলীর ছেলে আব্দুর ছত্তার (৩৫), মৃত ফজলুল হকের ছেলে রহিছ মিয়া (৩৫) ও মৃত জবর আলীর ছেলে মফিজ মিয়া (৪৫)। এ সময় ঝড় শুরু হয়। স্রোতের তোড়ে তাদের নৌকা নদীর পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীতে থাকা অন্যান্য লোকজনের সহযোগীতায় সাঁতরিয়ে হারিছ মিয়ার তিন সহযোগী নদীর তীরে উঠলেও তিনি উঠতে পারেননি। স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সম্রাট মিয়াসহ হারিছের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করতে নদীতে খোঁজ অব্যহত রেখেছেন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ হারিছ মিয়ার খোঁজে তার স্বজনদের পাশাপাশি পুলিশের একটি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও বিজিবির সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’