শাল্লায় বাঁধের কাজে ভূতুরে বরাদ্দ ! ১১১ মিটারে ২১ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুনামগঞ্জের শাল্লায় ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার যেন শেষ নেই। এবার সারা উপজেলা জুড়ে আলোচনা চলছে ভূতুরে বরাদ্দ নিয়ে। ১শ’ ১১ মিটার স্থানে বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১লক্ষ ৩২হাজার ৫শ’ ৬৪ টাকা। তাছাড়াও গত বছরের অক্ষত বাঁধগুলোতেও দেয়া হয়েছে সমান বরাদ্দ। সেইসব বাঁধের পাশে বিবরণ লিখে সাইন সাটিয়ে রাখা হয়েছে। ওইসব সাইনবোর্ডে চোখ বুলিয়েই এমন বরাদ্দ দেখে লুটের মহোৎসব হবে এমনই মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা।
ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের ৯০নং পিআইসি’র প্রকল্প এলাকার চেইনেজ ৮.৯৮০ কি:মি: হতে ৯.০৯১ কি:মি: পর্যন্ত মোট ১শ’ ১১মিটার স্থানে বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১লক্ষ ৩২হাজার ৫শ’ ৬৪ টাকা। ১শ’ ১১মিটার বাঁধ মেরামতে এমন বরাদ্দ দেখে বিরূপ মন্তব্য করছেন এলাকাবাসি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৯০নং পিআইসি’র ১শ’ ১১মিটার স্থানের মধ্যে মাত্র ৩০/৩২ মিটার স্থানে একটি ভাঙ্গা রয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পিআইসি’র সভাপতি চয়ন চৌধুরী বাঁধের কাজ শুরুই করেনি এবং বাঁধ এলাকায় পিআইসি’র লোককে দেখা যায়নি। ওই সময় স্থানীয়রা বলছেন, এই ভাঙ্গাটিতে মাটি ফেলে বাঁধ নির্মাণ করতে সর্বোচ্চ ৬/৭ লাখ ব্যয় হতে পারে।
ছায়ার হাওরের কৃষক মুক্তারপুর গ্রামের মনমোহন চৌধুরী, লালু মিয়া, মন্নানপুরের ছন্দু মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল মিয়াকে বাঁধ এলাকায় পেলে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, এই সামান্য বাঁধে এত টাকা বরাদ্দের কোনো দরকার নাই। সরকারি টাকা লুটপাটের জন্যই এতো টাকা এখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসময় মনমোহন চৌধুরী আরো বলেন, সাড়া উপজেলা জুড়েই লুটপাটের একই চিত্র। তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় ; যাদের জমি নেই তারাও পিআইসি পেয়েছে।
এরূপ বরাদ্দের বিষয়ে জানতে সাবেক শাখা কর্মকর্তা মোঃ সমসের আলী মন্টুর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ পওর-২ বিভাগের বর্তমান শাখা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ূমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এই ইষ্টিমেট পূর্বের শাখা কর্মকর্তা মোঃ সমসের আলী তৈরী করেছেন। আমাকে ইষ্টিমেট দেখে বলতে হবে।