বিয়ে বাড়ির দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ ৪০ জন

স্টাফ রিপোর্টার::
সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ৪০ জন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থ লোকজন ও তাদের স্বজনরা জানায়, দিরাই উপজেলার ডাইয়ারগাঁও গ্রামের মলয় কান্তি দাসের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রাণেশ তালুকদারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় গত বুধবার রাতে। বিয়ের পর বরযাত্রীরা প্রথমে নাস্তা ও পরে ভাত খান। ভাত খাওয়ার পর আজ সকাল থেকে একজন দুইজন করে পেটের পীড়্য়া আক্রান্ত হতে থাকেন। বিকেল আজ নাগাদ ৪০ জন সদও হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হন। খাবারের কারণে বর ও কনে পক্ষের লোকজন অনেকেই আক্রান্ত হন। বরের বড় ভাই মলয় কান্তি দাস বলেন, গত রাতে তারা প্রথমে হালকা নাস্তা খান পারে ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েন। আজ সকাল থেকে তারা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন। তাদেও ধারনা খাবারের সমস্যার কারণে সবাই অসুস্থ হয়েছে। আক্রান্ত যুবক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের নগর গ্রামের সাগর দাস বলেন, ভাত খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেও কোন কিছু হয়নি। কিন্তু আজ সকালে একজন দুজন করে সবাই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ডাইয়ারগাও গ্রামের অনুকুল পুরকায়স্থ বলেন, রাতের খাবারের পর সকালে তার বেশ কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়। পওে তাকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিশ্বজিৎ দাস বলেন, খাবারের কারণে তারা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে এসে স্যালাইন ও ওষুধ খেয়েছেন। প্রণয় তালুকদার বলেন, রাতে তারা ডাল, খাসিরমাংস,মুরগির মাংস সবজি ঝোল দিয়ে ভাত খেয়েছেন। খাওয়ার পরপর কিছু না হলেও আজ সকাল থেকে অনেকে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। পেটের পীড়ায় আক্রান্তরা হলেন বাদল, বিশ্বনাথ পাল, রাহুল, বিনোদ বিহারি, সুর্বনা রানী, প্রিমা, লায়ন চৌধুরী, শিল্পী রানি, সুব্রত, বিশ্বজিৎ, জ্যোতিষ, সুচি, চন্দ্র রানি, কনিকা, সুসেন, শংকর,বিধান রায়, অসীম রায়, মিতা ,প্রণয়,সতীশ, প্রণয় তালুকদার, মিতালি,সাগর,অনুকুল ,লোপা দেব, লিটন দাস, সমর পাল,শংকর পালসহ ৪০ জন। সদর হাসাপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বিয়ের দাওয়াত খেয়ে উনারা অসুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আক্রান্তদের অবস্থা অনেকটা ভালো। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন বিয়ের বাড়িতে দাওয়ায় থেকে উনারা অসুস্থ হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।