ফসল রক্ষায় নারী-পুরুষ সবাই এখন বাঁধে

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ধারনে একমাত্র ভরসা বোরো ধান রক্ষায় নারী পুরুষ সবাই এখন বাঁধে কাজ করছে।বসে নেই  স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও।একমাত্র রোরোধান তলিয়ে গেলে জীবিকা নির্বাহের আর কোন উপায় নেই।খাওয়া থেকে শুরু করে জীবনের সব প্রয়োজন মিটে এই বোর ধান দিয়ে।তাই বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্বক দিয়ে চেষ্টা করছেন সবাই।এ যেন জীবন রক্ষার শেষ আয়োজন।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নদীর তীর  ডুবে  এসে ঠেকেছে বাঁধের গোড়ায়।
ইতিমধ্যে শাল্লা উপজেলার খলার বন,বাঘের খাল,কৈয়ার হাওর, পুটিয়ার হাওরের প্রয়া ১০০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে।যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড দাবি করছে এই হাওরগুলো হাওর রক্ষা বাঁধের অন্তর্ভুক্ত নয়।
গতকাল শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের ৯০ নং পিআইসিতে ফাটল দেখা দেয়।মুহুর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা উপজেলায়। বাঁধে ছুটে আসে নারী -পুরুষ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ।সকলের প্রাণ পন চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায় বাঁধটি।খবর পেয়ে বাঁধে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবু তালেব ও উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী।
বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে ছায়ার হাওরের সব জমি তলিয়ে যেতো।এই হাওরে  শাল্লা উপজেলা সহ খালিয়াজুড়ি, নেত্রকোনা এই তিন উপজেলার জমি রয়েছে।
তবে স্থানীয় কৃষকের দাবি বাঁধের অধিকাংশ বালি মাটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঠিক মত দুরমুজ না করায় বাঁধটি দুর্বল বার বার পিআইসি সভাপতিকে তাগদা দিলেও কর্ণপাত করেনি।
কৃষক অনিল চন্দ্র বলেন,বাঁধে এখন যে তদারকি হচ্ছে এটা শুরু থেকে হলে আজকে এই অবস্থা হতো না।
শাল্লা উপজেলা পাউবোর নির্বাহি প্রকৌশলী আবদুল কইয়ুম বলেন, বাঁধে ফাটল দেখা দিলে আমরা দ্রুত সেখানে ছুটে যাই।ঈদুর এবং কাড়া বাঁধ কেটে ছিদ্র করায় বাঁধে পানি ঢুকেছে। এমনিতে শাল্লা উপজেলার কোন বাঁধে তেমন ঝুঁকি নেই।
এব্যাপারে শাল্লা উপজেলা  নির্বাহি কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন,শাল্লা উপজেলার সবগুলো বাঁধ মনিটরিং করা হচ্ছে।৯০ নং পিআইসি ফাটল দেখা দিলে আমরা সেখানে ছুটে যাই সকলের চেষ্টায় বাঁধটি মেরামত করা হয়েছে। কি কারনে ফাটল দেখা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পিআইসির কোন অনিয়ম পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।