শাল্লায় ইউএনও’ র অফিস সহকারীর হামলায় সাংবাদিক বাদল দাস আহত

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহকারীর হামলায় এক সাংবাদিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত সাংবাদিকদের নাম বাদল চন্দ্র দাস(৪৫)। তিনি দৈনিক জনবানী পত্রিকার শাল্লা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শাল্লা সদর (ঘুঙ্গিয়ারগাঁও) বাজারের নাঈমের দোকানে বসা অবস্থায় অতর্কিত এই হামলা চালায় অফিস সহকারী সুব্রত দাস। হামলার বিষয়ে সদ্য স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন ও সুব্রত কুমার দাসকে আসামী করে শাল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সাংবাদিকদ বাদল দাস। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অয়ন্তী এন্টারপ্রাইজ মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের ইট বালুসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ করেন। এই মালামাল সরবরাহকৃতের ৪৭ লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাওনা রয়ে যায়। উল্লেখিত টাকাগুলো পরিশোধের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা টালবাহানা করেন ইউএনও আল মুক্তাদির হোসেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।কিন্তু পাওনা টাকা না পেয়ে সর্বশেষ সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইউএনও’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এই অভিযোগ দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষণ ক্ষিপ্ত হন। এরপরই অফিসের কর্মচারী সুব্রত কুমার দাসের নেতৃত্বে বাদল চন্দ্র দাসের উপর হামলা চালানো হয়। দৈনিক আজকের পত্রিকার শাল্লা প্রতিনিধি বিপ্লব রায় বলেন বাদল দাসের উপর হামলার খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তি করা হয়।

আহত বাদল চন্দ্র দাস বলেন, পুর্বপরিকল্পিত ভাবে ইউএনও আল মুক্তাদিরের নির্দেশে আমার উপর হামলা চালিয়ে ইউএনও’ র বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
শাল্লা উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( বর্তমানে এলাকায় অবস্থানরত) আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, ঘটনার কিছুই আমি জানি না। এই হামলার ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এদিকে ঘটনার পর থেকে অফিস সহকারী সুব্রত দাসের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য নানা দূর্নীতিতে অভিযুক্ত শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদিরকে গত ১৩ জানুয়ারি প্রত্যাহার করে তদস্থলে দিরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) অরুপ রতন সিংহকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে দিনদুপুরে বাজারে মধ্যে সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের উপর হামলা ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইউএনও অফিসের কর্মচারী সুব্রত কুমার দাসের গ্রেপ্তারের দাবী করছেন শাল্লার সাংবাদিকবৃন্দ।