শাল্লায় এস আই শাহ আলীর উপর হামলাকারীদের ছাড় দেয়া হবেনা-পুলিশ সুপার মিজান 

 

দিরাই প্রতিনিধি ঃ- যুবলীগ নেতা অপু বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শাল্লা থানার উপ পরিদর্শক শাহ আলীকে দেখতে যান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় তিনি শাল্লা উপজেলা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি শাহ আলীর শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ণ দেখেন। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বশীল চিকিৎসক রবিউল ইসলাম ও সালমা বেগমের সাথে কথা বলে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন পুলিশ সুপার । তাছাড়া তিনি হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বক্তব্য শুনেন। পর তিনি শাল্লা থানায় এসে মামলার তদন্তের বিষয় তদারকি করেন। এসময় সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান ও শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর অালম। বিকেলে শাল্লা থেকে ফেরার পথে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান দৈনিক জালালাবাদের সাথে আলাপ কালে বলেন, হাওর বেষ্টিত শাল্লা উপজেলা বাসীকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য দূর্গম এলাকায় পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। রাতের অাধারে পুলিশ অফিসারে উপর যারা হামলা করেছে তারা দূর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী। হামলার ঘটনায় থানা মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় থানা সংলগ্ন শাহীদ আলী মাঠের রাস্তায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন এস অাই শাহ আলী। স্থানীয়রা আহত শাহ আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে অভিযান চালিয়ে রাতেই শাল্লা থানার পুলিশ আটক করে। আটককৃতরা হলেন, নাইন্দা গ্রামের অনিল বরণ চৌধুরীর ছেলে যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু (৩৮), ঘুঙ্গিয়ারগাও গ্রামের নারু গোপাল রায়ের ছেলে রতন রায় (২৮) ও বাহাড়া গ্রামের মিষ্টলাল দাসের ছেলে সেন্টু দাস (২৩)। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে শাল্লা থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেন। এই তিনটি মামলায় তিন আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুর আলম নিশ্চিত করেন।