দিরাইয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষন চেষ্টার মূল আসামী চালক শহীদ মিয়া গ্রেপ্তার!

 

স্টাফ রিপোর্টার
দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় চালক শহীদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। শনিবার ভোর ৬ টায় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় পুরাতন বাসস্টেশন থেকে সিআইডি পুলিশ তাকে আটক করে। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে রশিদ আহমদ নামের হেলপারকে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে আটক করে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান চালক শহীদ মিয়াকে সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে ভোর ৬ টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে আটক করেছে বলে জানান। তিনি জানান, এখনো সকাল ৯ টা পর্যন্ত শহীদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি সিআইডি।
গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এসময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
এঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামী করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামে। সে দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।