দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দেয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই কর্তৃক বিএনপির প্রবীণ নেতার উপর শনিবার দিরাই বাজারের হাইস্কুল রোডে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আহমেদ চৌধুরীসহ তার ভাইদের উপর রাতেই মামলা করেন বিএনপি নেতা সুফি মিয়া চৌধুরী। মামলার জের ধরে রোববার সকাল সাড়ে দশটায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দলবল নিয়ে ঐ বিএনপি নেতার গ্রামের বাড়িতে আবারও হামলা চালাতে গেলে এক পর্যায়ে দু’পক্ষই গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এসময় দু’পক্ষের ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
দিরাই থানা পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাড়ল গ্রামের আহম্মদ চৌধুরী। একই গ্রামের বাসিন্দা সুফি মিয়া চৌধুরী নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহম্মদ চৌধুরীর বিরোধিতা করেন। গত শনিবার দুপুরে দিরাই বাজারের হাইস্কুল রোডে আহম্মদ চৌধুরী ও তার ভাইয়েরা সুফি মিয়ার উপর হামলা করে। হামলায় আহত সুফি মিয়া রাতেই আহম্মদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। তাড়ল গ্রামের বাসিন্দা সাদিক মিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আগের দিনের হামলা ও মামলা দায়েরের জের ধরেই রোববার সকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক তাড়ল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় দু’পক্ষের ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন।
দু’পক্ষের গুলিবিদ্ধরা হলেন, আমিনুর চৌধুরী (২৬), আলআমিন চৌধুরী (৩৮) ও সুফি মিয়া চৌধুরী (৫৫), তাঁর ছেলে ইদু মিয়া চৌধুরী (৩০)। গুরুতর আহত আমিনুর চৌধুরী ও আল আমিন চৌধুরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুফি মিয়া ও তার ছেলে অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান। সংঘর্ষের বিষয়ে একপক্ষ অপরপক্ষের লোকজনকে দায়ী করছেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান স্যার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত আছে।