দিরাইয়ের বিতর্কিত ইউএনও সফি উল্লাহ অবশেষে বদলি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিশাডটকমঃ – সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বিতর্কিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এটি সপদে বদলি, কোনো পদোন্নতি নয়।

বৃহস্পতিবার সকালে দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে ইউ এন ও কে পদোন্নতি জনিত বদলির অভিনন্দন জানালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিদের । এরপর কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হয়েছেন’ বলে পোস্ট দিতে থাকেন ।এ বিষয়টি সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের নজরে দেয়া হয় । এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটি সমপদে নিয়মিত বদলি। পদোন্নতি বদলি নয়, উনি নিয়মিত পদায়নে সমপদে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ে বদলি হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) এএইচএম আসাদ উল্লাহ ও গৃহিনী সেলিনা বেগমের সন্তান মো. সফি উল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

জানাযায়,প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে পেটানোই শুধু নয় দিরাই’র ইউএনও উপজেলায় যোগ দিয়েই একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছিলেন । প্রকাশ্য সমাবেশে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিতর্কসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত ব্যাখা চেয়ে চিঠি লিখেন। এতে বেকায়দা পরে উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দুঃখ প্রকাশ করেন। সর্বশেষ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় দিরাইয়ে রাফসান একাডেমি ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ চলাকালীন সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বেধকর পেটান ইউএনও শফি উল্লাহ। এসময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে এক দর্শককেও পেটান তিনি। পরে রাত ১০ টায় দিরাই থানায় বসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)আশরাফুল ইসলামের মধ্যস্থতায় নিষ্পত্তি হয়। খেলোয়াড়দের পেটালেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটির সুত্রে পরের দিন সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে তদন্তে আসেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। তদন্তে মারামারির সত্যতা পাওয়ার প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এর আগে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের নাম নিজের ছেলে ‘রাফসান’র নাম অনুসারে নামকরণ করেন।শুধু তাই নয়, এলাকার নবীন-প্রবীণ খোলোয়ারকে পাশ কাটিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনও করান নিজের ছেলেকে দিয়েও। তখন বিষয়টির বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এর আগে ‘স্যার’ না ডাকায় জনৈক সাংবাদিকের উপর ক্ষেপেছেন দিরাইয়ের ইউএনও।
গত ৭ অক্টোবর একটি সংবাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেয়া শেষে কল কেটে দেয়ার সময় ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় খেপেছিলেন তিনি । এনিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনা হয়েছিল।