দিরাইয়ে ১০ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ আটক ৪,কালোবাজারিরা অধরা 

দিরাই সংবাদদাতা ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চোরাই পথে আসা  চারটি পিক-আপ ভর্তি  ১০ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ চার চালকককে আটক করেছে  থানা পুলিশ। সোমবার ভোরে দিরাই বাজারের ব্যবসায়ী গোপাল রায়ের গুদামের পাশে দাড়িয়ে থাকাবস্থায় ১৬০ বস্তা চিনিসহ চারটি পিকআপ গাড়ি ও চারজন  চালককে আটক করেন থানার  এস আই তাপস চন্দ্র দাসসহ সংগীয় ফোর্স । এব্যাপারে দিরাই থানায় চারজন চালকসহ পাঁচজনের নামে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দিরাই থানার পুলিশ  ভারতীয় চিনি আটকের ঘটনায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

দিরাই থানা পুলিশ  সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদে রোববার রাতেই খবর আসে  একজন কালোবাজারির মাধ্যমে চোরাই পথে  ভারতীয় চিনির বড় একটি চালান আসবে দিরাইয়ে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে চারটি পিকআপ ভ্যানের মাঝে ১৬০ বস্তা চিনি নিয়ে চারজন চালক দিরাই বাজারের ব্যবসায়ী গোপাল রায়ের গুদামে সামনে( দাউদপুর) দাড়িয়ে থাকে। চালকরা জানিয়েছে  বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা থেকে  মালামাল সহ চারটি পিক-আপ  নিয়ে তারা ভোরে দিরাই আসে। কথা ছিল  বাজারে আসার পর দিরাই’র ব্যবসায়ী তাদের রিসিভ করবে। এর আগেই গোপন সংবাদে খবর পেয়ে দিরাই থানার এস আই  তপন চন্দ্র দাস সংগীয় ফোর্স সহ চারজন চালক ও পিকআপ ভ্যানগুলো আটক করে  থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃতরা হলেন  জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাতেরকোনা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পুত্র আল আমীন (২০), মাজাইর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২),আলীপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোঃ মঞ্জিল মিয়া (৪২), পদ্মনগর গ্রামের রবীন্দ্র দেবনাথের ছেলে প্রান্ত দেবনাথ (৩৪)। ধৃত চারজনই পিক-আপের চালক।

এদিকে  দিরাইয়ে চোরাই পথে আসা ১৬০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ চারজন আটকের পর

দিনভর   দিরাই বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে নানা সমালোচনা শুনা যায়।ব্যবসায়ীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে দিরাই উপজেলা বিভিন্ন বাজারে ও পাশের শাল্লা উপজেলায় বড় বড় বাজারে  ব্যবসায়ী গোপাল রায়,নারায়ন দাসসহ  কয়েকজন চিহ্নিত ব্যবসায়ীর  মাধ্যমে ভারতীয় চিনির রমরমা ব্যবসা চলছে। যার  কারনে দেশীয় চিনি বাজারে পাওয়াই যায়না।  অভিযোগ রয়েছে সরকারী দলের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় এ সকল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে দেশীয় চিনির সংকট তৈরী করে। ফলে দেশীয় চিনির দামে ভারতীয় কমদামের চিনি কিনতেই বাধ্য ক্রেতাসাধারণ।অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় রাজস্ব।  আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে  ইতিপূর্বে চোরাই পথে আসা  ভারতীয় চিনির ছোট দুয়েকটি চালান ধরা পরলেও  অদৃশ্য কারনে কালোবাজারি মুলহোতারা অধরাই থাকছে । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জানায় অনেক সময় খবর আসে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনির চালানের কিন্তু সরেজমিনে গেলে এই গোপাল রায়রা কোর্ট থেকে নিলামের  চালান দেখিয়ে পার পেয়ে যায় তারা।

দিরাই থানার এস আই  তপন চন্দ্র দাস বলেন গোপন সংবাদে খবর পেয়ে  দাউদপুর এলাকায় ৪টি পিক-আপ ভর্তি ১৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করা হয়। যার বাজার রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।ধৃত চারজন চালকসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।