দিরাইয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক দিশা ডটকম :- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সিএনজি গাড়িতে যাত্রী উঠানোর সময় দুই চালকের কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।  বুধবার বিকাল তিনটায় উপজেলার  রাজানগর ইউনিয়নের গছিয়া ও জকিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে  এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকালে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত দুই গ্রামের  ১২  জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে দিরাই বাস স্টেশনে  সিএনজি চালক জকিনগর গ্রামের আনোয়ার ও গছিয়া গ্রামের সোহানের মধ্যে গাড়িতে যাত্রী উঠানো কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন স্টেশনের দায়িত্বে থাকা লোকজন। কিন্তু বিকাল দুই টার পর গছিয়া গ্রামের সিএনজি চালক সোহান মিয়া যাত্রী নিয়ে জকিনগর গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়  আনোয়ার হোসেন  তার লোকজন নিয়ে হামলা ও  মারপিট  করে। একপর্যায়ে সিএনজি গাড়িটি রেখেই সোহান মিয়া দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে বাড়িতে যায়। এর পর দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।দুই ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই গ্রামের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।সংঘর্ষে আহতদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে
গুরুতর আহত গছিয়া গ্রামের জয়নুল (৩৫)জুনেদ(২৬)সজিদ(৪০)লিপু(৪০)সোহান(৩০)সাকিল (১৬) ও জকিনগর গ্রামের আমির হোসেন (৪০)এরশাদ( ৬০)হাবিবুর (৩০)মাহবুব (১৮)আলমগীর (২৬)শহীদুজ্জামান(২০)আনোয়ার (৩০) রুবেল (৩৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা দিরাই হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত জকিনগর গ্রামের সিএনজি চালক  আনোয়ার হোসেন  বলেন বাস স্টেশনে কথা-কাটাকাটি পর গচিয়া গ্রামের সোহান মওয়া তার গাড়ি নিয়ে আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গালাগালি করে । পরে আমাদের লোকজন তাকে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। অপরদিকে গচিয়া গ্রামের সোহান মিয়া বলেন আমি দিরাই থেকে যাত্রী নিয়ে জকিনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আনোয়ার ও তার লোকজন আমার গাড়ি আটকিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। কোন রকমে আমি গাড়ি রেখেই জান নিয়ে পালিয়ে এসে আমার আত্মীয়দের দেখা তারা উত্তেজিত হন।পরে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয়রা জানান  অন্তত দুই ঘন্টা ব্যাপী দুই গ্রামবাসী ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাসৃথলে পৌঁছে  পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে ।