ঢাকায় নৌকা ডুবিতে নিহত দুই বোনকে দিরাইয়ের গ্রামের বাড়িতে দাফন

 

দিরাই প্রতিনিধিঃ- ঢাকার তুরাগ নদে নৌকাডুবিতে নিহত দুই বোনকে গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে সমাহিত করা হয়েছে। নিহত পাঁচ শিশুর মধ্যে দুজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে। তারা হলো— মাছিমপুর গ্রামের হোসাইন আহমদের দুই মেয়ে আলমিনা বেগম (৭) ও ফারহা বেগম (৫)। রোববার সকালে তাদের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। এর পর জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার ভোরে তুরাগ নদে নৌকাডুবিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাভারে আমিনবাজার তুরাগ নদে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা কেবলারচর থেকে গাবতলীর দ্বীপনগর যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝপথে পৌঁছলে উভয় দিক থেকে দুটি বালুভর্তি বাল্কহেড ওপর উঠে যায়। এ সময় ট্রলার থেকে কেউ কেউ সাঁতরে তীরে পৌঁছলেও পাঁচ শিশু ও দুই নারীসহ আটজন নিখোঁজ হন।
জীবিকার তাগিদে মাত্র তিন মাস আগে মাছিমপুর গ্রামের হোসাইন আহমদ, তার স্ত্রী রোহেনা বেগম ও তিন শিশুকে নিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। ঢাকার গাবতলীতে তুরাগ নদের পাড়ে কলোনিতে ভাড়ায় বাস করছিলেন তারা।
তুরাগ নদীর ওপারে কয়লার কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পার হতেন তারা। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোরে কয়লার কাজে হোসাইন আহমদ ও স্ত্রী রোহেনা তিন শিশুসহ খাবার-দাবার নিয়ে নদী পারাপারের সময় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। দুই শিশুর পিতা হোসাইন আহমদ জানান, তার স্ত্রী রোহেনা কোলে থাকা সন্তানকে নিয়ে তুরাগ তীরে উঠতে পারলেও দুই শিশু আমিনা ও ফারহানা তলিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সূত্র জানায়, নিহত ও নিখোঁজরা মূলত সিলেট এবং সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। কয়লার কাজ চলাকালীন তারা সিলেট থেকে এ এলাকায় এসে কাজ করত।সবাি আমিনবাজার ইউনিয়নের বড়দেশী গ্রামে ভাড়া থাকত।