শাল্লায় নিয়ামতপুর খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

বকুল আহমদ তালুকদার::

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামপুর খেয়াঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।১৫০ মিটার নদী একবার পার হতে দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা।
দিরাই এবং শাল্লা উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা এটি।বিকল্প রাস্তা না থাকায় নিয়ামতপুর খেয়া পার হয়েই দিরাইসহ সুনামগঞ্জ,সিলেট যাতায়াত করতে হয় শাল্লা উপজেলার মানুষকে।
অনেকটা বাধ্য হয়ে বা বিপদে পড়েই যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,নিয়ামতপুর নদী পারাপারের জন্য একটি মাত্র নৌকা। ঘাটের মাঝি তার ইচ্ছামতো যাত্রিদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রিদের। শুধু তাই নয়, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ড্রাইভারদের মোটর সাইকেল ও দুইজন যাত্রির কাছ থেকে খেয়াঘাটে এক বার পার হতে নেয়া হচ্ছে ২০টাকা। অপরদিকে ব্যক্তিমালিকাধীন মোটর সাইকেল যাত্রিদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৩০টাকা এবং একজন সাধারণ যাত্রির নিকট থেকে নেয়া হচ্ছে ১০টাকা।
এবিষয়ে মোটর সাইকেল চালক বিশ্বজিৎ দাস ও সজিব মিয়া জানান, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ড্রাইভারদের কাছ থেকে খেয়ার মাঝি ২০টাকা করে নিলেও অন্য মোটর সাইকেল মালিকদের কাছ থেকে ৩০টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। আবার কখনো কখনো দর-দাম কষাকষি করে মোটর সাইকেল পারাপার করছে ওই মাঝি। তারা আরো জানান, এই খেয়াঘাটে সন্ধ্যার পর পারাপার হতে হলে জনপ্রতি গুনতে হয় ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নৌকার কয়েকজন সাধারণ যাত্রি বলেন, যাতায়াতের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমাদেরকে অনেকটা বাধ্য হয়েই অধিক ভাড়া পারাপার হতে হচ্ছে।
এবিষয়ে খেয়াঘাটের মাঝি নিয়ামতপুর গ্রামের লিটন দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি নিয়মিত মোটর সাইকেল চালকদের কাছ থেকে ২০টাকা ও অন্য চালকদের কাছ থেকে ৩০টাকা এবং সাধারণ যাত্রিদের কাছ থেকে ১০টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি। এর কম নিলে আমার পোষায় না। আপনি এ ঘাট কোথা হতে ইজারা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এব্যাপারে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের মুঠোফোনে কয়েক বার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।