দিরাই‘র মধুরাপুর সংঘর্ষে  নিহতের ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন, আটক ১০

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নুর মোহাম্মদ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত । তিনি মধুরাপুর (কামালপুর) গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র।সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭ থেকে ১০ টা পর্যন্ত উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের দিরাই  হাসপাতালে নিয়ে এলে গুরুতর আহত শফিক মিয়া, রেজু মিয়া ও ফারুক আহমেদ কে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর  পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দিরাই থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়,উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের দুই প্রবাসীর নিয়ন্ত্রনে থাকা দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে ডজন খানেক মামলা চলে আসছে । একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে মধুরাপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুকিত চৌধুরী ও অপর পক্ষে আমেরিকা প্রবাসী সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদ চৌধুরী। মুকিত চৌধুরীরগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছে কামালপুর গ্রামের নুরজালাল গং ও জাহেদ চৌধুরীর পক্ষে মধুরাপুর গ্রামের দিল হক গং।সম্প্রতি কয়েকবার হামলা পাল্টা হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।এরই জের ধরেই মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় উভয় পক্ষ একে অন্যের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই খুন হন মুকিত চৌধুরী পক্ষের নুর মোহাম্মদ। সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা  পর্যন্ত দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  আশরাফুল ইসলাম মধুরাপুরে ১ জন নিহতের বিষয় নিশ্চিত করে দৈনিক দিরাই-শাল্লা ডটকমকে বলেন, গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে,মামলার প্রস্তুতি চলছে।