শাল্লায় জলমহাল শুকিয়ে অবাধে মাছ আহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার মহোৎস চলছে।একের পর এক জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার ফলে হুমকিতে পড়েছে দেশিয় প্রজাতির মাছ। ধ্বংসের মুখে পড়েছে হাওরের জীববৈচিত্র। পাশাপাশি হাওরের ছোট ছোট জলমহালগুলো শুকানোর ফলে সংকট সৃৃষ্টি হবে বোর চাষের সেচ কাজে। বছরের পর বছর জলমহালগুলো শুকিয়ে মাছ ধরলেও নির্বাক উপজেলা মৎস অধিদপ্তর। কোন নজরদারি নিয়ে এইসব বিষয়ে।
শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ভান্ডা বিল জলমহাল। প্রায় ৬৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে জলমহালটির অবস্থান। মৎস্য আহরণের জন্য এই মৌসুমে জলমহাল সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। বেশি মাছ ধরার লোভে ছোট জলমহালগুলো শুকিয়ে ফেলছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা। নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করেই এমন কর্মকান্ড চলে সারা উপজেলায়। জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে আগুয়াই-মৌরাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ।
নীতিমালা উপেক্ষা করে মাছ আহরণ করা হলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কোনোরূপ কার্যক্রম চোখে পড়েনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান বলছেন এইগুলো ভূমি অফিস তদারকি করে। তবে জলমহাল শুকানোর বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
স্থানীয়রা জানান ভান্ডাবিল জলমহালটি সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সুবল চন্দ্র দাস জানান, এই জলমহালটি গ্রামের মানুষকে দেয়া হয়েছে। তবে জলমহাল শুকানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেননি। বিল শুকিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোর দাবি জানান অনেকে।
জানা গেছে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সম্প্রতি ইজারাদারের লোকজন জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরছে।
জলমহাল ইজারা নীতিমালায় জলমহালের পানি শুকিয়ে মাছ ধরার নিয়ম নেই। কিন্তু ওইসব শর্ত মানছে না অনেকেই। সরেজমিনে ভান্ডাবিল জলমহালে গেলে দেখা যায় পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে ভান্ডা বিলের একটি অংশের পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। আর এই অংশটুকু শুকিয়ে ফেলা হলে আশপাশের বোরো জমিগুলোর ফসল হুমকিতে পড়বে।
এবিষয়ে মৌরাপুর গ্রামের শিশু সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সামনেই আগুয়াই-মোৗরাপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জলমহাল শুকাতে বাধা-নিষেধ করেন। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন তাদের বাধা মানেনি।
এব্যাপারে ইজারাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাসের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কথা বুঝেননি বলে ফোনটি কেটে দেন।