দিরাইয়ে একই স্থানে তাফসীর মাহফিল  এবং ওরস নিয়ে উত্তেজনা  

নিজস্ব প্রতিবেদক দিশা ডটকমঃ-দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের তাফসির মাহফিল ও ওরস আয়োজনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ মুখোমুখি। ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি ও ওরস আয়োজক কমিটির মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা । প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও (১৫ মার্চ) একই স্থানে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তাফসির মাহফিল ও কমল শাহ নামক এক ব্যক্তির নামে  ওরস আয়োজনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা দেখা দেয়। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

ওরসের নামে বেহায়াপনা ও সমাজ বিরোধি কাজ  বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন গ্রামের লোকজন। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর এ আবেদনটি করা হয় । এদিকে ওরস বন্ধের দাবী জানিয়ে ১০ মার্চ ভাটিপাড়া খেলার মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে ওরস প্রতিহত করে সেখানে তাফসির মাহফিল করার ঘোষণা দেন এলাকাবাসী। ১৩ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় দরগাহপুর মাদ্রাসার মুহতামিম, শায়খুল হাদিস মাওলানা নুরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একদল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাটিপাড়া বাজারে গিয়ে সেখানকার ইউপি সদস্য রুহেল মিয়াসহ আয়োজকদের ওরস না করার আহবান জানান।  স্থানীয়রা জানান, ভাটিপাড়া গ্রামে কোন মাজার নেই, কতিপয় লোক কমল শাহ নামে এক ব্যক্তির নামে ওরসের আয়োজন করে  রাতভর মদ, গাঁজা ও যুবক-যুবতীদের অশ্লীল নাচ-গানের আসর বসায়। ২০১৮ সালেও ওরস আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসন  এতে যুবক ছেলেদের মাদকাসক্ত ও চরিত্র হননের পাশাপাশি মুসুল্লিদের ঈমান আক্বিদায় আঘাত আসে। এবছরও ইউপি সদস্য রুহেল মিয়া, ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মুতাহিরের পুত্র সুহেদ মিয়া, নোমানসহ স্থানীয় কিছু লোক ওরস আয়োজন করে প্যান্ডেল ও মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু করলে আলেম-উলামা ও স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন। ইউপি সদস্য রুহেল মিয়া বলেন, কমল শাহ পীর ছিলেন, তিনি ভাটিপাড়াগ্রামে অনেকদিন বসবাস করেছেন, কিন্তু এখানে উনার মাজার না থাকলেও ভক্তবৃন্দ রয়েছেন। তারা ওরসের আয়োজন করেছে। আমাকে প্রশাসনের পক্ষ বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারনে বেশি লোক জমায়েত নিষেধ তাই ওয়াজ এবং ওরস করা যাবেনা। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল জানান, ওরস বন্ধের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফি উল্লাহ জানান, উত্তেজনা নিরসন এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে সবকিছু বন্ধ রাখার জন্য ওসি সাহেবকে বলা হয়েছে।